রিয়াদ আহমেদ : রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত টিএন্ডটি আদর্শ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের খাতা বানিজ্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন অভিভাবকরা।
অভিযোগ এসেছে বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) প্রতি ক্লাসে শিক্ষকরা একেকজন বাচ্চাকে জোর করে ৫-৬টা করে খাতা ধরিয়ে দিয়ে বলেছে পরবর্তী ক্লাসে টাকা নিয়ে আসতে। বাচ্চারা বাবা-মায়ের কাছে অনুমতি নিবে সেই সুযোগ দেয়নি!
কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ করেন, তারা তো এই খাতা বিনামূল্যে দেয়নি যে এভাবে অভিভাবকদের না জানিয়ে বাচ্চাদের জোর করে চাপিয়ে দিবে। আবার বলে দিয়েছে এই খাতা ছাড়া লিখলে হবে না। একেকটি খাতার মূল্য ধরেছে ৫০ টাকা। তাদের প্রশ্ন এই খাতায় আলাদা কি আছে? যে অন্য খাতায় লিখলে হবে না!
একজন অভিভাবক বলেন, উত্তরটা হলো এই খাতায় তাদের বাটপারি ব্যবসা আছে। তারা যে খাতা দিয়েছে এই সমপরিমাণ পাতার খাতা বাজারে ৩০-৩৫ টাকায় পাওয়া যায়।
ক্ষোভ প্রকাশ করে আরেকজন অভিভাবক বলেন, আমার সন্তান সপ্তম শ্রেণীতে পড়েন। এখনো স্কুল থেকে একটি বই দেয়নি। ক্লাস হচ্ছে না ঠিকমত। মাত্র দুটি করে ক্লাস হয় তাও বই ছাড়া। অথচ খাতা বিক্রি শুরু করেছে। ব্যবসা করবেন ভালো কথা বাজারের সাথে মিলিয়ে ব্যবসা করুন। এভাবে ডাকাতি করা কোনো অভিভাবক কামনা করে না। অথবা যাদের সামর্থ্য আছে তারা কিনবে বাচ্চাদের হাতে বাধ্যতামূলক তুলে দিবে কেন। এছাড়া গতবছরের নষ্ট নিম্নমানের ডায়রি এবছর বাচ্চাদের হাতে তুলে দিয়েছে।
ক্লাস ফোরে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, এখনকার বাচ্চারা এমনিতেই মোবাইলে আসক্ত তার মধ্যে বই না দিয়ে স্কুলে পড়া দিয়ে বলে দেয় মোবাইল ইন্টারনেট দিয়ে প্রশ্নের উত্তর বের করে নিতে। এমন অবস্থায় এবছর বাচ্চাদের শিক্ষা নিয়ে আমরা খুব উদ্বিগ্ন!
খাতা বানিজ্যের বিষয়ে কথা বলতে টিএন্ডটি স্কুলের ওয়েবসাইটের দেওয়া নাম্বারে ফোন করলে যিনি ফোন রিসিভ করেছেন তিনি বলেন এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলতে। শুক্র-শনি স্কুল বন্ধ থাকায় প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলা যায়নি।
এদিকে টিএন্ডটি আদর্শ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে গত বছর পুরাতন শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফি ছিল ৪ হাজার টাকা। এ বছর তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৪ হাজার ৪৮৫ টাকা। এ নিয়েও অভিভাবকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
Post Views: 46