নিজস্ব প্রতিনিধি (সিলেট) : সিলেটের গোয়াইন ঘাট সীমান্তে খেলাফত মজলিসের লেবাসধারী নেতা আখলাকুল আম্বিয়ার নেতৃত্বাধীন পুলিশ নিয়ন্ত্রিত লাইনম্যান ও মূখোশধারী কতিপয় নেতার সমন্বয়ে হাদারপার সীমান্তে একটি বেপরোয়া চোরাচালান চক্র গড়ে উঠে্ছে। সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার হাদারপার ও বিছনাকান্দি সীমান্ত এলাকায় অপ্রতিরোধ্য হয়ে চোরাচালান চক্রটি অতিবেপরোয়া হয়ে পুলিশ নিয়ন্ত্রিত বেপরোয়া লাইনম্যান ও মুখোশধারী নেতা ও পাতিনেতা মিলে এ চোরাচালান চালিয়ে আসছেন। চোরাচালানির মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অতিদ্রুত আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন। স্থানীয়রা গোপনে দাবি তুললেওে তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে নারাজ। প্রকাশ্যে মুখ খুললে তাদের ওপর নেমে আসে নির্যাতনের খড়গ। যে কারণে সবাই নীরব দর্শক।
স্থানীয় সূত্রের দাবি , সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দি সীমান্ত এখন চোরচালানের স্বর্গরাজ্য। সেই রাজ্যের নিয়ন্ত্রন করছেন স্থানীয় থানা পুলিশের বিট কর্মকর্তা এ এস আই কামাল, ও সহকারী বিট কর্মকর্তা এ এস আই তানভীর, সহযোগিতায় স্থানীয় কতিপয় রাজনৈতিক লেবাসধারী নেতা ও লেবাসধারী খেলাফত মজলিসের সাধারণ সম্পাদক (আখলাকুল আম্বিয়া) ও অসাধু ব্যাক্তিবর্গ এবং লাইনম্যান।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গোয়াইনঘাট থানার ওসি , সার্কেল এসপি , বিট অফিসার ও দমদমিয়া বিজিবির ক্যাম্প কামান্ডারসহ কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি গোষ্ঠী। হাদারপার,বিছনাকান্দি সীমান্তের বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে, থানা পুলিশের নিয়োগকৃত লাইনম্যানরা প্রতি রাতে থানা পুলিশের নামে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করে আসছেন। অবৈধভাবে চোরাচালান বানিজ্য চালিয়ে রাতারাতি আঙুল ফুলে কালা গাছ বনে গেছেন একটি চক্র ।
এদিকে গোপন সূত্রের দাবি , রাজস্ব বোর্ডের ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে উপজেলার ১ নং রুস্তম পুর ইউপি ও ১৩ নং বিছনাকান্দী ইউপির / সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ভারতীয় অবৈধ পণ্য সামগ্রী বাংলাদেশ প্রবেশ করছে। ওই সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসতেছে, শতকোটি টাকার গরু , মহিষ , চিনি ,অস্ত্র , কিট , কসমেটিক ,শীতের পোশাক, মাদক, বিভিন্ন ব্রান্ডের স্মার্ট ফোন , মোটরসাইকেল ইত্যাদি ।
এসব চোরাচালান সম্রাজ্যের নেতৃত্ব দিচ্ছেন থানা পুলিশের লাইনম্যান নামে পরিচিত চাঁদাবাজরা। মাফিয়া গ্যাং চক্রের সদস্যরা হলেন গোয়াইনঘাট উপজেলার ১ নং রুস্তমপুর ইউপি/চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন , জালাল মেম্বার ,আখলাকুল আম্বিয়া , সিন্ডিকেট চক্ররের সদস্যরা। ভারতীয় গরু প্রতি ২০০০ টাকা নেন, চিনির বস্তা প্রতি ৩শ টাকা, কিট প্রতি ১০০০ টাকা কসমেটিক এর কাটুন থেকে ৫০০ কাটা চাঁদা আদায় করছেন এ চক্রটি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে লাইনম্যান আখলাকুল আম্বিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার এ যোগাযোগ করা হলে তিনি স্বীকারোক্তি দিয়ে বলেন , স্থানীয় সংবাদকর্মী ও নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করছেন খেলাফত মজলিসের সাধারণ সম্পাদক আখলাকুল আম্বিয়া।
সিলেট এর স্থানীয় কথিত নামধারী সংবাদকর্মী কে ম্যানেজ করেছেন। তবে কয়েক জন সাংবাদিক এর বিকাশ নাম্বারে ২০০০ হাজার টাকা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এসব চোরাচালানের বিষয় জানতে চাইলে আখলাকুল আম্বিয়া গণমাধ্যমকে স্বীকারোক্তি দিয়ে বলেন , এখানে লুকানোর কিছু নেই যারা যোগাযোগ করেছে তাদের সবাইকে বলেন , আমাদের একটু সুযোগ দিন আপনাদের কে দেখবো , ভাই আজকে আমাদের বাজার পরে কথা বলব বলে ফোন কেটে দেন আখলাকুল আম্বিয়া।
এবিষয়ে জানতে এসআই কামাল এর ব্যবহারকৃত মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অস্বীকার করে বলেন, আমার পোস্টিং হয়ে গেছে আমি এসবের কিছুই আমার জানা নেই বলে ফোন রেখে দেন।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ সরকার তোফায়েল এর হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার এ যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি নিশ্চিত না করে আমি কিছু বলতে পারবনা কারণ আমি এসবের বিষয় আমার জানা নেই , এলাকায় বিট অফিসার ও সহকারী বিট অফিসাররা আছেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে জানতে পারবেন বলে ফোন রেখে দেন।