আজকের দেশ ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা। প্রতিদিনিই নতুন নতুন দেশ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। মারাও যাচ্ছে প্রচুর মানুষ। তাই ভয়াবহ রকমের এই ছোঁয়াচে রোগ নিয়ে মানুষের আতঙ্কের শেষ নেই। তবে করোনার কিছু ভালো খবরও কিন্তু আসছে। সেরকমই কিছু সুখবর তুলে ধরা হলো এ প্রতিবেদনে।
১. করোনাভাইরাসের সূত্রপাত চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে। ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ এটি ছড়িয়ে পড়ার পর চীনের এই শহরের প্রচুর মানুষ এতে আক্রান্ত হয়েছে। মারাও গেছে ৩ হাজারের বেশি মানুষ। তখন করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে নতুন নতুন হাসপাতল খুলতে হয়েছিল চীন সরকারকে। তবে তারা ভালোভাবেই করোনা নিয়ন্ত্রণে সফল হয়েছে। ফেব্রুয়ারির শেষ দিক থেকেই সেখানে কমতে শুরু করে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এখনও তো সেটি বলতে গেলে জিরোতে এসে দাঁড়িয়েছে। চিকিৎসা নেয়ার মতো নতুন কোনও রোগী না থাকায় দেশের সর্বশেষ করোনাভাইরাস হাসপাতালটি বন্ধ করে দিয়েছে চীন সরকার।
২. ভারতের চিকিত্সকরা করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় সফল হয়েছেন বলে দাবি করেছেন। তারা এর চিকিৎসায় লোপিনাভির, রেটোনোভাইর ও ওসেল্টামিভির পাশাপাশি ক্লোরফেনামিন ওষুধ ব্যবহার করছেন। তারা করোনা চিকিৎসায় বিশ্বব্যাপী একই ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ দিতে চলেছেন।
৩. করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে একটি অ্যান্টিবডি খুঁজে পাওয়ার দাবি করেছেন নেদারল্যান্ডের গবেষকরা।
৩. চীনের উহান শহরের একজন ১০৩ বছর বয়সী বৃদ্ধা মাত্র ৬ দিন চিকিৎসার পর COVID-19 থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
৪. করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় অ্যাপল চীনে থাকা তাদের ৪২টি স্টোরের সবগুলোই ফের খুলেছে।
৫. যুক্তরাষ্ট্রের ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক কোভিড-১৯’র ওপর এমন পরীক্ষা চালিয়েছে যা কয়েক দিন নয়, মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ফল দেয়।
৬.দক্ষিণ কোরিয়া নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা করতে শুরু করেছে।
৭. বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ইতালিতেই বয়স্ক মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এ কারণেই দেশটিতে করোনার সংক্রামণ বেশি হচ্ছে।
৮. ইসরায়েলের বিজ্ঞানীরা যে কোনও সময় করোনভাইরাসের ভ্যাকসিন বা টিকা তৈরির কথা ঘোষণা করতে পারেন
৯. যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের করোনাভাইরাস আক্রান্ত তিনজন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সক্ষম।
১০. কানাডিয়ান বিজ্ঞানীদের একটি নেটওয়ার্ক কোভিড -১৯ গবেষণায় দুর্দান্ত অগ্রগতি করছে
১১. যুক্তরাষ্ট্রের সান দিয়েগো শহরের একটি বায়োটেক কোম্পানি ডিউক বিশ্ববিদ্যালয় ও সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সঙ্গে মিলে করোনার ভ্যাকসিন তৈরির কাজ করছে।