নিজস্ব প্রতিনিধি (সিলেট) : সিলেটের আদি উৎসব পলো বাওয়া। পরিচিত এই পলো বাওয়া উৎসব এ মৌসুমে উজ্জীবিত করে মাছ ধরতে। দল বেঁধে লোকজন বিলের মধ্যে পলো হাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। শুরু হয় মাছ ধরার প্রতিযোগিতা।

মঙ্গবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ৫ নং ফতেহপুর ইউনিয়নের হরিপুর বালিপাড়া গ্রামের বাড়ার ডুয়ার হাওরের বড় বিলে শুরু হয়েছে সেই পলো বাওয়ার প্রতিযোগিতা। দুপুর ১২টা থেকে পলো বাওয়া উৎসব শুরু হয় প্রায় এক ঘণ্টার মতো পলো বাওয়া হয়।

শিশু থেকে বুড়ো, সবাই পলো হাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন হাওরে।
এ উৎসব যেনো ওই এলাকার খানদানি পুরনো ঐতিহ্য বললেন সাংবাদিক আব্দুল্লাহ।
তিনিও পলো হাতে বিলের পাড়ে মাছ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। গ্রামীণ সংস্কৃতি বা পুরোনো ঐতিহ্য কিছুটা হলেও ধরে রাখার চেষ্টা করছেন তারা।
এ উৎসবে যোগ দিতে ছেলে-বুড়োসহ প্রায় কয়েক শতাধিক ব্যক্তি ছুটে আসেন বাড়ার ডুয়ার বিলে। কারোও হাতে পলো, ছিটকি জাল, উড়াল জাল, লাঠি জাল, হাত জাল (ঠেলা জাল)।
এলাকাবাসী জানান, পলো বাওয়ায় ধরা পড়া মাছের মধ্যে শোল ও বোয়ালই বেশি। অনেকেই আবার গজার মাছ ধরতে সক্ষম হন।
পলো বাওয়া উৎসবের আনন্দ যুবক-বৃদ্ধের চেয়ে ছোট ছোট শিশুদের মধ্যে একটু বেশি। তারা তাদের বাবা-চাচা-দাদা-মামা-ভাইয়ের হাত ধরেই উৎসবে শরিক হতে এসেছে।
এদিকে এই পলো বাওয়া দেখতে আশপাশের গ্রামের এবং দূর-দূরান্ত থেকেও লোকজন সকাল থেকেই দল বেঁধে ছুটে আসতে থাকেন বিলের পাড়ে।
এলাকাবাসী জানান, প্রায় একশত বছর ধরে এই বিলে ‘পলো বাওয়া উৎসব’ পালন হয়ে আসছে। প্রতি বছর শীত মৌসুমে এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে বিলে মাছ শিকার করেন।