
নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ ইন্সুরেন্স লি: একটি সমবায় প্রতিষ্ঠান হলেও তা ব্যক্তিগত কোম্পানীতে পরিনত হয়েছে। স্বচ্ছতা জবাবদিহিতার কোন বালাই নেই। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুর-ই-আলম সিদ্দিকি এককভাবে সব নিয়ন্ত্রণ করছেন। বিদ্যমান আইন বিধি অনুযায়ী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার যোগ্যতা না থাকলেও তথ্য গোপন করে পদ ভাগিয়ে নিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা জালিয়াতির মাধ্যমে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদে নিযুুক্ত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়া, বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ ইন্সুরেন্স লি: এর বিরুদ্ধে ভ্যাট ফাঁকি দেয়ার অভিযোগ অনেক পুরাতন। এমনকি সমবায় উন্নয়ন তহবিলের টাকাও ঠিকমত প্রদান করেনা। আবার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুর-ই-আলম সিদ্দিকি ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত খরচ করছেন বেশি। যেকারনে ইতিপূর্বে আইডিআরএ একাধিক বার প্রতিষ্ঠানটিকে আর্থিক জরিমানা করছেন।

তাছাড়া, লোক দেখানো বিরানী খাওয়ানো সাধারণ সভা ঠিকই হয়। ব্যবস্থাপনা কমিটি থাকলেও সিন্ধান্ত গ্রহণ করেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুর-ই-আলম সিদ্দিকি । তার অঙ্গুলি হেলানে চলে সবকিছু। গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নিবার্চনের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠিত হয়ন। সাজানো পকেট কমিটি করে নানাভাবে সমবায় অধিদপ্তর কে ম্যানেজ করে কমিটি পাস করিয়ে নেন। নুর-ই-আলম সিদ্দিকি তার পছন্দের লোকজন কে পরিচালনা পর্যদে রাখেন। আবার পছন্দ না হলে সদস্য পদ নানা অজুহাতে খারিজ করে পছন্দের কাউকে কো-অপ্ট করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ব্যবস্থাপনা কমিটির একজন সাবেক পরিচালক বলেন, নুর-ই-আলম সিদ্দিকি প্রতিষ্ঠানে সর্বেসর্বা। ব্যবস্থাপনা কমিটিতে অভিজ্ঞ লোক না থাকার সুযোগে তিনি একক ভাবে সব নিয়ন্ত্রণ করছেন। যে কারনে কোন জবাবদিহিতা নাই। ফলে দুর্নীতির আবর্তে প্রতিষ্ঠানটি ঘুরপাক খাচ্ছে।
জানাগেছে, ১৯৮৪ সালে দেশের বিশিষ্ট সমবায়ীদের উদ্যেগে বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ ইন্সুরেন্স লিঃ প্রতিষ্ঠিত হয়। জাতীয় পর্যায়ের ৯টি, কেন্দ্রীয় পর্যায়ের ১২০টি এবং প্রাথমিক পর্যায়ের ৬৭৪টি সহ মোট ৮০৩টি সমিতি এই ইন্সুরেন্স কোম্পানির শেয়ার হোল্ডার সদস্য। ইন্সুরেন্সের ব্যবসা ভাল হলেও সদস্য সমিতির কপালে কোন লভ্যাংশ জুটেনা।
উদ্দেস্য প্রনোদিত হয়ে লাভ দেখানো হয়না। ভুয়া ক্লেইম দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ করে। এমনকি প্রিমিয়াম আদায়ের সময় যে ভ্যাট নেয়া হয় তাও সরকারকে পরিশোধ করা হয় না ।