নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস-এর নেতৃত্বে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ইনভেস্টমেন্ট সামিট : খালেদ উর রেহেমান , সভাপতি, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যাসোসিয়েশন (বিহা)-এর পক্ষ থেকে বিবৃতি

Uncategorized অর্থনীতি কর্পোরেট সংবাদ জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী সংগঠন সংবাদ সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক   :  নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস-এর নেতৃত্বে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ইনভেস্টমেন্ট সামিট উপলক্ষে খালেদ উর রেহেমান , সভাপতি, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যাসোসিয়েশন (বিহা)-এর পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়েছেন।


বিজ্ঞাপন

উক্ত বিবৃতি যথাক্রমে হুবহু তুলে ধরা হলো, আজ আমি এক অসাধারণ আনন্দ ও গর্বের মুহূর্তের সাক্ষী। আমি একসময় গণমাধ্যমে বলেছিলাম—যদি নোবেল বিজয়ী, বিশ্ববরেণ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, প্রধান উপদেষ্টা (জিওবি) একটি ভিডিও বার্তায় বলেন, “বাংলাদেশে আসুন, আমার অতিথি হোন”, তাহলে তা হবে আমাদের দেশের জন্য বৈশ্বিক বিনিয়োগের দ্বার উন্মোচনের এক ঐতিহাসিক সুযোগ। আজ সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিচ্ছে।


বিজ্ঞাপন

“ইনভেস্টমেন্ট সামিট ইন বাংলাদেশ” এই বিশ্বমঞ্চে আমাদের দেশের সম্ভাবনা তুলে ধরার এক অসামান্য উদ্যোগ, যা নতুন দিগন্তের সূচনা করবে।


বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যাসোসিয়েশন (BIHA)-এর সভাপতি হিসেবে আমি জোর দিয়ে বলছি—বাংলাদেশের হসপিটালিটি এবং ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রি আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম চালিকাশক্তি। এই খাত শুধুমাত্র বিদেশি পর্যটক বা ব্যবসায়ীদের স্বাগত জানাচ্ছে না, বরং দেশের বেসরকারি খাত থেকে উন্নয়নে সরাসরি অবদান রাখছে।

BIHA-এর আওতাধীন সকল হোটেল সদস্য বর্তমানে বাংলাদেশে আগত সকল বিদেশি অতিথি, বিনিয়োগকারী ও পর্যটকদের সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। এই হোটেলগুলো দেশের সম্মান ও আস্থা বৃদ্ধি করছে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে এবং বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিবেশকে আরও দৃঢ় করছে।

তবে, এই খাতে টেকসই ও ব্যাপক অগ্রগতির জন্য সরকারের সহানুভূতিশীল সহযোগিতা, বিনিয়োগবান্ধব নীতিমালা এবং প্রণোদনার প্রয়োজন। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে হলে এই সেক্টরের প্রতি সরকারের দৃষ্টি ও সহায়তা অত্যন্ত জরুরি।

আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি—এই ইনভেস্টমেন্ট সামিট বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় সূচনা করবে। বিশ্বকে এখনই আমন্ত্রণ জানাতে হবে—বাংলাদেশে আসুন, আমাদের সম্ভাবনা দেখুন, আমাদের অংশীদার হোন।

বাংলাদেশ প্রস্তুত। আমাদের হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রি প্রস্তুত। আসুন, সরকার, বেসরকারি খাত এবং আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী একসাথে কাজ করি—একটি সমৃদ্ধ আগামীর জন্য।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *