নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর রামপুরা শিমুলবাগ এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনে চাঁদার দাবিতে ৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে পালিয়ে যাওয়া সন্ত্রাসী এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি হাতিরঝিল থানা পুলিশ। ঘটনাস্থলে আটককৃতরা তাঁদের নাম প্রকাশ করলেও অদৃশ্য কারণে নাম আসেনি এজাহারে। ঘটনার দুই দিন পর প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এলাকায়।

এ ঘটনায় স্থানীয়রা উদ্বিগ্ন। আবার সাধারণ শ্রমিক রিকশা ও সিএনজি চালকদের মাঝেও হতাশা কাটছে না। রামপুরা উলন শিমুল বাগ দাসপাড়া ৮-৯ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়মিত এলাকায় চাঁদাবাজি করে থাকে। স্থানীয় পেশাদার চাঁদাবাজ জুয়েলের নের্তৃত্বে ওই সন্ত্রাসী গ্রুপ টি অস্ত্রের মহড়া দিয়ে ছিনতাই চাঁদাবাজি সহ নানা অপকর্ম চালিয়ে আসছে।সবাই মুখ বুঝে সহ্য করে প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেন না।

শিমুল বাগ একটি নির্মাণাধীন ভবনে সন্ত্রাসীরা দশলাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে পাঁচ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করে। পরে হাতিরঝিল থানা পুলিশ ঘটনা স্থল থেকে পাঁচজনকে আটক করেন।

আটককৃতরা হলেন দীপঙ্কর, গোলাম রাব্বী রনি, মোঃ নয়ন ,মৃদুল ও রিফাত। পরে মামলা দিয়ে আদালতে চালান করে পুলিশ। হাতিরঝিল থানার মামলা নম্বর ২৫ তারিখ ২৬-৪-২০২৫।পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই চার জন সন্ত্রাসী জুয়েল, জাকির, হৃদয়, ফেরদৌস পালিয়ে যায়।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে ২৫ এপ্রিল রাত অনুমান ৮টার দিকে স্থানীয় শিমুলবাগ নির্মাণাধীন ভবনে চাঁদার দাবিতে ৮-৯ জনের একটি সঙ্ঘবদ্ধ সন্ত্রাসী বাহিনী হাজির হয়ে দশ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ভবন মালিকেরা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে পাঁচ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে ভয়ভীতি দেখাতে থাকেন।
ঘটনাস্থলে ২২ নং ওয়ার্ডের ছাত্রদলের সভাপতি ছোট বাদশা উপস্থিত থেকে ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন। গুলির শব্দ পেয়ে স্থানীয়রা দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করে হাতিরঝিল থানায় খবর দেন। অফিসার ইনচার্জ এর নের্তৃত্বে এস আই শাহ আলম সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করে পাঁচজনকে আটক করেন। ওই সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মূল সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
ওই সন্ত্রাসী গ্রুপের প্রধান জুয়েল ,জাকির, হৃদয়, ও ফেরদৌস এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকলেও দাপটের সাথে এলাকায় ঘোরাঘুরি করছে । এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় সূত্রের দাবি রামপুরা থানা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি ইব্রাহিম খান তুষার এর সেকেন্ড ইন কমান্ড জুয়েল। এবং দীপঙ্কর রামপুরা থানা মৎস্যজীবী লীগের সক্রিয় সদস্য।
তুষার খানের নাম ভাঙিয়ে জুয়েল এর সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি করছে। এছাড়াও দাসপাড়া সিএনজি স্ট্যান্ডে প্রকাশ্যে খেটে খাওয়া সিএনজি চালকদের বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে সাথে থাকা টাকা পয়সা ছিনতাই করে। অস্ত্র ঠেকানোর ভিডিও ফুটেজ গণমাধ্যমের হাতে রয়েছে। সে এতই বেপরোয়া এলাকার কাউকে তোয়াক্কা করে না।
সিএনজি চালকেরা এ সন্ত্রাসী বাহিনীর কাছে জিম্মি। সন্ত্রাসীদের চাহিদা পূরণ করতে অস্বীকার করলে নেমে আসে খড়গ।এলাকায় গরীব অসহায় মানুষের আতঙ্কের নাম জুয়েল ।
এসব বিষয় মামলার বাদী এস আই শাহ আলম এর কাছে জানতে চাওয়া হলে গণমাধ্যম কে বলেন, আমরা একত্রিশ জন মালিক মিলে একটা ভবন নির্মাণ করতেছি।
প্রতিনিয়ত চাদার দাবিতে এখানে এসে বসে থাকে এবং শ্রমিকের কাজ বন্ধ করে দেয়। প্রতিদিনের মতো গতকালকে চাঁদার দাবিতে এখানে এসে ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্ক তৈরি করে এবং কাজ বন্ধ করে দেয়।
স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে তাদেরকে আটক করে থানা পুলিশকে খবর দিলে আমরা তাদেরকে আটক করে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হই এবং মামলা দিয়ে আদালতে চালান করি।
আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে বাকি আসামিদের কে গ্রেফতার প্রক্রিয়াধীন আছে। অচিরেই তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হব।