নওগাঁর মহাদেবপুরে সড়ক ও জনপদ বিভাগের বিরুদ্ধে বাঁকা করে ড্রেন নির্মাণের অভিযোগ

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন রাজশাহী সারাদেশ

নওগাঁ প্রতিনিধি  :  নওগাঁর মহাদেবপুরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের বিরুদ্ধে ডবলওয়ে সড়কের পাশের ড্রেন সোজা না করে বাঁকা করে নির্মাণের অভিযোগ করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

ড্রেনটি নির্মাণে সড়ক সংলগ্ন দুটি বিতর্কীত ভবনের অংশ বিশেষ রক্ষার জন্য অনৈতিক সুবিধা নিয়ে ড্রেনটি বাঁকা করে নির্মাণ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। ফলে পুরো উপজেলা সদরের বছরের পর বছর ধরে জমে থাকা পানি নিস্কাষনে বাঁধার সৃষ্টি হবে।


বিজ্ঞাপন

স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা সদরের বাজার, সবকটি রাস্তা আর অফিস পাড়ায় গত কয়েক বছর ধরে ড্রেনের নোংড়া পানি জমা হয়ে আছে। এসব পানি নিস্কাষণের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগ উপজেলা সদরের নবনির্মিত ডবলওয়ের পাশ দিয়ে পাকা ড্রেন নির্মাণ শুরু করে।


বিজ্ঞাপন

এজন্য উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ড থেকে বচনা ব্রিজ ও বাসস্ট্যান্ড থেকে ব্র্যকের মোড় পর্যন্ত এলাকায় সওজ এর মালিকানাধীন জায়গার উপর স্থাপিত বিভিন্ন ভবনের অংশ বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়। কিন্তু বুলবুল সিনেমা হলের সামনে দুটি বিতর্কিত ভবনের সামনের অংশ ভাঙ্গ হয়নি। এনিয়ে এলাকার জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।

অনেকেই মনে করেন গোপন সমঝোতার ভিত্তিতেই এই দুটি ভবনের অংশ ভাঙ্গা হচ্ছে না। ড্রেন নির্মাণ শুরু হলে স্থানীয়দের ঠিকাদারের লোকেরা জানান যে, ড্রেন সোজা না হয়ে ওই দুটি ভবনের সামনে রাস্তার দিকে বাঁকা হয়ে যাবে।

বিষয়টি তখন ট্যক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়। বিষয়টি জানতে সওজ পত্নীতলা উপবিভাগের মহাদেবপুরের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারি প্রকৌশলী রাশেদ আলী ও উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আহসান হাবীবের সাথে যোগাযোগ করা হলে উভয়ে জানান যে, ড্রেন সোজা করেই নির্মাণ করা হবে।

মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে ওই দুটি ভবনের সামনে ড্রেন নির্মাণের জন্য মাটি খনন করা সময় দেখা যায় ভবন দুটিকে বাঁচিয়ে সামনের দিকে বাঁকা করে মাটি কাটা হচ্ছে।

ওই ভবন দুটির একটির মালিক শ্রী অনিল চন্দ্র। ভবনটি ছয়তলা। এর সামনে সওজ এর জায়গা দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে পুরো বিল্ডিংয়ের টয়লেটের বিশাল সোকওয়েল আর বারান্দা। আর অপর ভবনটি উপজেলা আওয়ামী লীগের বেদখল হওয়া অফিস। এর সামনেও সওজ এর জায়গা দখল করে অবৈধভাবে বারান্দা নির্মাণ করা হয়।

এই লাইনে শতাধিক দোকানের সামনের অংশ ভেঙ্গে ফেলে ড্রেন নির্মাণ করা হলেও এই দুটি ভবনের বারান্দা ও টয়লেটের সোকওয়েল না ভেঙ্গে ড্রেনই বাঁকা করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, হঠাৎ করে ড্রেন বাঁকা হলে স্বাভাবিক পানির প্রবাহ বাঁধাগ্রস্ত হবে। ফলে বছরের পর বছরের জমে থাকা পানি নিস্কাষণে আবারো সমস্যা দেখা দিবে। স্থানীয়রা অবিলম্বে অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলে ড্রেন সোজা করে নির্মাণের দাবি জানান।

মঙ্গলবার দুপুরে এব্যাপারে জানতে সওজ পত্নীতলা উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আহসান হাবীবের মোবাইলফোন নম্বরে ফোন দেয়া হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *