প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনায় পর্যটনকেও যুক্তকরুণ

অর্থনীতি রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত প্রণোদনায় পর্যটনের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অগ্রাধিকার নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ট্যুরিজম ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিইএ)। রোববার প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনা বাজেট ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে ভিডিও বার্তায় দেয়া যৌথ বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান বাংলাদেশ ট্যুরিজম ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোখলেছুর রহমান ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সাগর।
বিবৃতিতে তারা বলেন, রোববার সকাল ১০.০০ টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করোনা আক্রান্ত বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন তা বিশেষভাবে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এই ঘোষণা থেকে এ কথা পরিস্কার হয়েছে যে, তিনি বাংলাদেশের শিল্প-বাণিজ্য-অর্থনীতি নিয়ে বিশেষ উদ্বিগ্ন এবং তা থেকে উদ্ধার করার জন্য সদা সচেষ্ট। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে নি¤œরূপে তার দৃষ্টিগোচর করতে চাই। আমরা আশা করি, এক্ষেত্রেও তিনি পদক্ষেপ নিতে বিলম্ব করবেন না।
সারা পৃথিবীর মতো বাংলাদেশের পর্যটনশিল্পও অত্যন্ত নাজুক অবস্থার শিকার হয়েছে বলে জানিয়ে তারা বলেন, একে ঘুরে দাঁড় করাতে হলে আগামী বছরের (২০২১) জুন পর্যন্ত যে কোন উপায়ে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। কেননা, এই শিল্প প্রায় সাড়ে ১৮ লক্ষ কর্মীর কর্মপ্রচেষ্টায় আমাদের জিডিপিতে ২০১৯ সালে ৭৭ হাজার ৩০০ কোটি টাকার অবদান রেখেছে এবং পর্যটন রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছে ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকারও বেশি।
বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে হোটেল ও বিমান মিলে ১০ ভাগ ব্যবসায়ী করপোরেট শ্রেণির, মাঝারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ৮০ ভাগ এবং ১০ ভাগ প্রান্তিক শ্রেণির অন্তর্ভূক্ত। ফলে পর্যটনের সাথে মূলতঃ ৯০ ভাগ পেশাজীবি ও কর্মী অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় পতিত হয়েছে, যা অন্য যে কোন উৎপাদনধর্মী এবং সেবাধর্মী শিল্পের চাইতে আলাদা।
এই শিল্প দেশে প্রত্যক্ষ, পরোক্ষ এবং আবেশিত এই তিন উপায়ে অবদান রাখে। তাই পর্যটন শিল্প ভেঙে পড়লে অর্থনীতি ও সমাজ ভেঙে পড়বে বলেও মন্তব্য করেন পর্যটন শিল্পের এ দুটি সংগঠনের নেতারা।
এমন পরিস্থিতিতে এই শিল্পকে রক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে তোলার উদ্দেশ্যে আগামী জুন ২০২১ পর্যন্ত প্রণোদনা ঘোষণা করতে বাংলাদেশ ট্যুরিজম ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে থেকে ৫টি উপায় তুলে ধরে তা বাস্তবায়নের দাবি তোলা হয়েছে।
উপায়গুলো হলো:
ক) বাংলাদেশের জিডিপিতে পর্যটনের অবদানের অন্যুন ২৫ ভাগ অর্থাৎ ১৯ হাজার ৩০০ কোটি টাকার বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করতে হবে। এই প্রণোদনার টাকা বাস্তবসম্মত নীতিমালার আওতায় এককালীন অনুদান, রিফাইন্যান্সিং ঋণ ও রেয়াতি সুদহারে ঋণ প্রদান করতে হবে।
খ) অনুদান ও ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে প্রান্তিক শ্রেণির ব্যবসায়ী, মাঝারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও করপোরেট ব্যবসায়ী এই ধারাক্রম মেনে চলতে হবে।
গ) ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদেরকে রক্ষার জন্য এপ্রিল ২০২০ মাসের মধ্যে অনুদানের অর্থ পর্যটন ব্যবসায়ীদের হাতে জরুরিভিত্তিতে পৌঁছাতে হবে।
ঘ) বিতরণকৃত সকল ঋণ সরলসুদে প্রদান ও দীর্ঘমেয়াদি পরিশোধ কিস্তি নির্ধারণ করতে হবে।
ঙ) ২০১৯-২০২০ এবং ২০২০-২০২১ করবর্ষে পর্যটনের সকল উপখাতে ১০% হারে ট্যাক্স হ্রাস করতে হবে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *