নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর বিভিন্ন বাসা-বাড়ি নিজ উদ্যোগে লকডাউন করে দিয়েছেন অনেকেই। অপরিচিত, গৃহকর্মী, স্বজন কাউকেই ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না আবাসিক ভবনে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বের হতেও দেয়া হচ্ছে না।
বনশ্রী আবাসিক এলাকা। বাসিন্দারা জানান, রাত আটটায় এ এলাকা যতটা নীরব, আগে রাত ১২ টাতেও এ নীরবতা দেখেননি তারা। প্রতিটি বাসার গেটে তালা। বাসায় আসা যাওয়ার ক্ষেত্রে রয়েছে কঠোরতা। চুরি ছিনতাইয়ের কথা বিবেচনায় রাস্তায় রাখা হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা।
একজন বলেন, বাসা থেকে বলে দেয়া হয়েছে, যে কোন আত্মীয় স্বজন যেন বাসা না আসে। এবং তাদের কেও বলা হয়েছে যে আমরা ও আপনাদের বাসায় যাবো না। তাই সবসময় গেট লক করে রাখি।
আরেকজন বলেন, বাসার লোকেরাও বাইরে যেতে পারে না। এবং বাইরের লোকেরাও বাসায় প্রবেশ করতে পারে না।
এক নিরাপত্তাকর্মী বলেন, আবাসিক এলাকায় লকডাউন করে দেয়া কারণে চোর, ডাকাত যেনো না আসছে না পারে সেজন্য আমরা রাতভর পাহারা দিচ্ছি।
একইভাবে নিকেতনের বাসাগুলোতে সরকারি ছুটি ঘোষণার পর থেকেই মেহমান এমনকি কাজের লোক আসা যাওয়াও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
একজন বলেন, সরকার লকডাউন করার পর থেকেই বাসায় কোনো কাজের লোক ও মেহমানদের আসতে নিষেধ করা হয়েছে। এবং তারা আসেনও না।
এক নিরাপত্তাকর্মী বলেন, যার যা প্রয়োজন হয়, দোকান খোলা থাকলে আমি এনে দেই।
নিজ উদ্যোগে লক ডাউন করে নিয়েছে শান্তিনগরের ইস্টার্ন পয়েন্ট। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হতে পারেন না অ্যাপার্টমেন্ট থেকে।
একজন বলেন, বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ যেনো বাসার বাইরে না যান সে জন্য বাড়ির মালিক কমিটি নির্দেশনা দিয়েছে। এখন সবাই তা মানছে। দেশে শনাক্তকৃত করোনা রোগীর বাড়ার সাথে সাথে রাজধানীর আবাসিক এলাকায় বেড়ে গেছে স্বেচ্ছা লকডাউন।
একজনও যদি করোনায় আক্রান্ত হয় সেক্ষেত্রে পুরো ভবনটি লকডাউন হয়ে যাবে। এই আশংকা থেকেই পরিচালনা কমিটি প্রতিটি অ্যাপার্টমেন্টককে নিজ উদ্যোগে লকডাউন করে নিয়েছেন।