গুলশান ওয়েস্টিন এর পেছনে রাজউক এর রূপসা এপার্টমেন্ট প্রকল্পের এ সকল ফ্ল্যাট প্লট বরাদ্দ কেন বাতিল হবেনা ?

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

বিশেষ প্রতিবেদক  :  বিগত স্বৈরাচার সরকারের আমলে অনেকটা গোপনে নিজেদের লোকদের ফ্ল্যাট এর বরাদ্দ দেয়া হয়। এদের মধ্যে প্রায় সকলেই রাজনৈতিক নেতা বা তাদের সন্তান অথবা প্রশাসন ক্যাডারের প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকর্তা বা তাদের সন্তান। লিস্টে থাকা বাকিরাও কোন না কোন ভাবে সরকারি কর্মকর্তা বা রাজনৈতিক নেতাদের প্রভাবে এসব মূল্যবান ফ্ল্যাট তুলনামূলক কম দামে বরাদ্দ পেয়েছেন।


বিজ্ঞাপন

প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে এসব ফ্ল্যাট প্রশাসন ক্যাডারের লোক বা সরকারি কর্মকর্তা কিভাবে কিনলেন? বরাদ্দ দেয়ার সময় রাজউক এর মেম্বার এস্টেট নুরুল সাহেব কিভাবে ফ্ল্যাট বরাদ্দ পেলেন? আরো যারা নিয়েছেন তাদের আয়ের উৎস কি? এ সকল ফ্ল্যাট প্লট বরাদ্দ কেন বাতিল হবেনা?


বিজ্ঞাপন

যারা বরাদ্দ পেয়েছেন ও কিনেছেন তারা যথাক্রমে, প্রফেসর ডা. জলাল আহমেদ সাবেক প্রিন্সিপাল, খুলনা মেডিকেল কলেজ। মোহাম্মদ রফিকুল হায়দার ভূঁইয়া সাবেক পরিচালক, এফবিসিসিআই। সিদ্দিক মোহাম্মদ জুলফিকার রহমান, সাবেক পরিচালক, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স (আর্মি)।  শেখ ইউসুফ হারুন সাবেক সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও সাবেক চেয়ারম্যান, বিডা। নূর মোহাম্মদ  সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক আইজিপি। মো. মাহবুবুর রহমান সরকার, সাবেক সচিব ,ইমরান কবির চৌধুরী  সাবেক সদস্য, রাজউক ,নূরুল ইসলাম  সাবেক সদস্য, এস্টেট রাজউক , ইফফাত জাহান এমি সাবেক সংসদ সদস্য জহিরুল ইসলাম মোহনের কন্যা , ডা. এম. নাসির উদ্দিন মুনশি প্রশাসন ক্যাডার ,এস. এম. কামরুল হাসান  সাবেক সচিব ,আশেকুর রহিম সাবেক সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিমের ভাই  এবং  মিনাক্সি বর্মন  যুগ্ম সচিব


বিজ্ঞাপন

১৪৫০০ টাকা স্কয়ার ফিট হিসেবে ৩০৯৯ স্কয়ার ফিট ×১৪,৫০০ টাকা = ৪৪,৯৩৫,৫০০ টাকা ( প্রায় চার কোটি পঞ্চাশ লক্ষ টাকা) ( গাড়ি পার্কিং ও ইউটিলিটি স্পেস এর মূল্য ব্যতীত ) মূল্যে উল্লিখিত সকলেই এসব ফ্ল্যাট ক্রয় করেছেন।


বিজ্ঞাপন

প্রশ্ন হলো কিভাবে তারা কয়েক কোটি টাকা দিয়ে এসব বরাদ্দ পেলেন? টাকাটাই বা কোথায় পেলেন আর বরাদ্দ -ই বা কোন প্রক্রিয়ায় হলো?


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *