খুরুশকুলে অন্তঃসত্ত্ব গৃহবধূকে নির্যাতন : তিন বছরের শিশুকে পিটিয়ে হত্যা চেস্টা অভিযোগ

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত গ্রাম বাংলার খবর চট্টগ্রাম বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

কক্সবাজার প্রতিনিধি  : কক্সবাজার সদর খুরুশকুল ইউনিয়নে তানিয়া নামে তিন বছরের কন্যা শিশুকে বেধড়ক মারধর পাশবিক নির্যাতন করে হত্যার চেস্টা গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, এ ঘটনা সন্তানকে বাঁচাতে মা বশিদা বেগম এগিয়ে আসলে বাধা দেওয়ায়,অন্তঃসত্ত্ব গৃহবধূর পেটে লাথি মেরে গুরুত্বর আহত করেছে এলাকার উশৃংখল বকাটে।গৃহবধূ রশিদা বেগম জানান ঘরের সামনে উঠানে খেলতে যায় শিশু তানিয়া,খেলা চলে শিশু তানিয়াকে বেধড়ক মারধর করে গুরুত্বর আহত করেছে,ঔ এলাকার বকাটে যুবক জাসেদ,গত ২৭জুন শুক্রবার সকালে সদর খুরুশকুল আশ্রয় প্রকল্প কদমতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।


বিজ্ঞাপন

ঘটনাস্থলের প্রত্যাক্ষদর্শী মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিশু তানিয়াকে নির্দয়ভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়।


বিজ্ঞাপন

ভিকটিমের মা রশিদা আক্তার তার মেয়ে উদ্ধারে এগিয়ে আসলে রশিদাকেও পিটিয়ে রক্তাক্ত করে,তিনি আরও জানান শিশু তানিয়া বাড়ির সামনে খেলা করতে বের হলে পূর্ব শত্রুতা যে ধরে রশিদের কন্যাশুত তানিয়ার ওপর মারধর করে তারা,শিশুর মা বলেন চিৎকার শুনে ঘরের বাহিরে এসে দেখতে পাই তার শিশুকে বেধড়ক মারধর করেছে জাসেদ,মারধরের বিষয়টি জানতে চাওয়া রশিদা বেগমকে তিন চারজন মিলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে হত্যার চেস্টা করে, রশিদার স্বামী আব্দুর রশিদ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসলে তাকেও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়।


বিজ্ঞাপন

এদিকে ভিকটিম রশিদা বেগমের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে দ্রুত সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্তঃসত্ত্ব ঐ গৃহবধূকে গাইনী ওয়ার্ডে ভর্তি দেওয়া হয় পেঠের ৪মাসের বাচ্চা আঘাত প্রাপ্ত হওয়ায় অন্তঃসত্ত্বা রশিদা ও পেঠের বাচ্চার ঝুঁকির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান চিকিৎসক।


বিজ্ঞাপন

হামলার অভিযুক্তরা হলেন খুরুশকুল ইউনিয়নের আশ্রয় প্রকল্প কদমতলী এলাকার ফরিদ আলমের ছেলে জাহেদ (প্রকাশ কালাপোয়া) খোরশের,জাসেদ,ফরিদ আলমসহ অনন্যরা।নির্যাতনের শিকার শিশু তানিয়া ও গৃহবধূ রশিদা বেগম একই এলাকার খুরুশকুল ইউনিয়নের কদমতলী আশ্রয় প্রকল্প পাশের এলাকার বাসিন্দা গত ২৭ জুন সকাল সাড়ে ১০টা দিকে এই ঘটনা ঘটে,ঘটনার বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি দিচ্ছে বলে জানান ভুক্তভোগী পরিবার।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *