৪টি অভিযোগের ভিত্তিতে দুদকের এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা 

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় প্রশাসনিক সংবাদ বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক  :  দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে ৩০ ও ৩১তম বিসিএসে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি) -এর সুপারিশ ছাড়াই ৪১ জন কর্মকর্তাকে নিয়োগ প্রদানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয় হতে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে টিম কর্তৃক বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন হতে প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়।


বিজ্ঞাপন

পরবর্তীতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় হতে প্রাথমিকভাবে সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, এসআরও নং ৫৫-আইন/২০১২ জারির মাধ্যমে বিধি ১৬এ (Rule 16A) সন্নিবিষ্ট করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

উক্ত বিধির আলোকে পিএসসি কর্তৃক প্রথম ধাপে প্রকাশিত ফলাফলে সুপারিশকৃত প্রার্থীদের মধ্যে পরবর্তীতে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিতিজনিত শূন্য পদে চাকুরি না পাওয়া মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের বিভিন্ন ক্যাডারে (১৮ জন প্রার্থীকে ৩০তম বিসিএসের মাধ্যমে ও ২৩ জনকে ৩১তম বিসিএসের মাধ্যমে) নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয় এবং পরবর্তীতে তাদের নিয়োগ প্রদান করা হয়।


বিজ্ঞাপন

এ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ বিধিসম্মত হয়েছে কিনা তা যাচাইয়ের নিমিত্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও পিএসসি হতে প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে। রেকর্ডপত্র প্রাপ্তিসাপেক্ষে পর্যালোচনাপূর্বক টিম কর্তৃক কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।


বিজ্ঞাপন

ঢাকা হতে যশোর পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণে দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয় হতে রেল ভবন, ঢাকায় অপর একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়।

প্রাথমিক পর্যালোচনায় এনফোর্সমেন্ট টিমের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, বর্ণিত রেলপথের Embankment filling মূল ডিজাইনে ৭.৩ মি গড় উচ্চতা হিসাবে হলেও সংশোধিত গড় উচ্চতা নির্ধারন করা হয় ৫.৬ মি, যা গড়ে ১.৭ মি. কম। সে অনুযায়ী মাটি ভরাটসহ চুক্তির বিওকিউ পরিমাণের চেয়ে কম পরিমাণে কাজ সম্পাদন করা হয়। তা সত্ত্বেও ঠিকাদারকে বিওকিউতে উল্লেখিত পরিমানের ১০০% (শতভাগ) বিল পরিশোধ করা হয়।

সার্বিক বিবেচনায় এ প্রক্রিয়ায় বিপুল পরিমাণ রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয়/আত্মসাৎ হয়েছে মর্মে টিমের নিকট প্রতীয়মান হয়। এ সংক্রান্তে উক্ত প্রকল্পের চুক্তিপত্র, ঠিকাদারকে মূল্য পরিশোধ সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র, অডিট আপত্তি রিপোর্ট সরবরাহের জন্য চাহিদাপত্র প্রদান করা হয়। সকল তথ্যাবলি প্রাপ্তিসাপেক্ষে পর্যালোচনাপূর্বক এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।

বগুড়ার কন্দাল ফসল গবেষণা উপ-কেন্দ্রে সরকার নির্ধারিত মূল্যের তুলনায় কম দামে ধান বিক্রয় দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, জেলা কার্যালয়, বগুড়া হতে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযান পরিচালনাকালে টিম ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) -এর সাথে অভিযোগের বিষয়ে কথা বলে এবং প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে৷ টিম পরবর্তীতে উপ-কেন্দ্রের বিভিন্ন গবেষণা প্লট ও ধান চাষের জায়গা পরিদর্শন করে। অভিযানকালে প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র ও তথ্যাবলি পর্যালোচনাপূর্বক এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে।

ডুলাহাজরা সাফারি পার্ক, চকরিয়া, কক্সবাজার -এ ৬টি উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, কক্সবাজার হতে অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানের শুরুতে প্রকল্প অফিস হতে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট আংশিক রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়। পরবর্তীতে উক্ত সাফারি পার্কে কর্তব্যরত ফরেস্টার এবং প্রকল্প সুপারভাইজার ইঞ্জিনিয়ারের উপস্থিতিতে সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়।

টিমের পর্যবেক্ষণে উক্ত প্রকল্পে অনিয়ম এবং দুর্নীতির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়।

টিম কর্তৃক প্রকল্প সংশ্লিষ্ট অবশিষ্ট রেকর্ডপত্র প্রেরণের জন্য বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়, চট্টগ্রাম বরাবর চাহিদাপত্র প্রদান করা হয়েছে। রেকর্ডপত্র প্রাপ্তি ও পর্যালোচনা শেষে টিম কর্তৃক কমিশনে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *