নিজস্ব প্রতিনিধি (খুলনা) : খুলনায় ‘কমিউনিটি ফোরাম’ শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে, এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।
উক্ত সভার সভাপতির বক্তব্য রাখেন খুলনা সিটি করপোরেশন কেসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শরীফ আসিফ রহমান।
‘‘ইস্টাবলিশমেন্ট অব কমিটিস ফর স্লাম ডুয়েলার্স এন্ড ইয়ুথ কমিটিস ইন ২৪ ওয়াডর্স অব খুলনা সিটি কর্পোরেশন টু স্ট্রেন্দেনিং দেয়ার রাইটস (কমিউনিটি ফোরাম)’’ শীর্ষক প্রকল্পের সূচনা সভা আজ সোমবার সকালে নগর ভবনের শহিদ আলতাফ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কেসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শরীফ আসিফ রহমান।
সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সচেতনতা বৃদ্ধি, স্থানীয় সরকারের সাথে সহযোগিতা, সেবামূলক কার্যক্রম, নাগরিক অধিকার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার ল্েয বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এ্যাডামস ফাউন্ডেশন নগরীর ১ থেকে ১৪, ১৭ থেকে ২০ এবং ২৩, ২৪, ২৭, ২৮, ৩০ ও ৩১নং ওয়ার্ডে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। বস্তি বা বস্তি সংশ্লিষ্ট সাধারণ মানুষের জন্য সাংগঠনিক প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করাই প্রকল্পের মূল ল্য ও উদ্দেশ্য।
অনুষ্ঠানে সভাপতি প্রতিটি েেত্র সেবার মান বৃদ্ধি করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, প্রান্তিক মানুষের জীবনমান উন্নয়নই প্রকৃত উন্নয়ন। সে কারণে সাধারণ মানুষের জন্যই আমাদের আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যেতে হবে।
সভায় জানানো হয়, প্রকল্পভুক্ত প্রতি ওয়ার্ড কমিটিতে ৪০জন সদস্য রয়েছেন এবং ২৪টি ওয়ার্ডে ২৪টি যুব কমিটি গঠন করার কাজও অব্যাহত রয়েছে। ২৪টি কমিটির ৯’শ ৬০জন সদস্যকে লিঙ্গ সমতা, মানবাধিকার, প্রাথমিক ও প্রজনন স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং আয়মুখী কার্যক্রমের ওপর প্রশিণ দেওয়া হচ্ছে।
প্রশিণ ও কার্যক্রম বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে ২৪টি প্রশাসনিক ওয়ার্ডে ওয়ার্ড কমিটি ও একটি কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের মাধ্যমে তাদের অধিকার ও দায়িত্ব-কর্তব্যের বিষয়ে তথ্য দেওয়া এবং সমতা বৃদ্ধি করা হবে। সরকারের সেবামূলক সংস্থাগুলো বিশেষ করে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সাথে সাধারণ উপকারভোগী মানুষের দূরত্ব লাঘব করে পরস্পরের অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সহযোগিতামূলক ও কার্যকরী সম্পর্ক তৈরি করাও এ প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ একটি কার্যক্রম।
এছাড়া এ প্রকল্পের অধীনে ২৪টি কমিটির ৪’শ ৮০জন মহিলা সদস্যকে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার ল্েয আর্থিক সহায়তা প্রদানের কাজ চলছে। কমিউিনিটি ফোরামকে আরও গ্রহণযোগ্য, ভারসাম্যপূর্ণ ও শক্তিশালী করার জন্য সুশীল সমাজের কিছু সদস্য যেমন উন্নয়নকর্মী, স্থানীয় স্বনামধন্য ব্যক্তি, বস্তির নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি-বেসরকারি কর্মচারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেসিসি’র এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট কোহিনুর জাহান, এ্যাডামস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক এস এম আলী আসলাম, কমিউনিটি ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারপার্সন শেখ কামরুজ্জামান ও সেক্রেটারী এইচ এম আবু সালেক। প্রকল্প সম্পর্কে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন এ্যাডামস ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর মিজানুর রহমান রাজা। কেসিসি’র কর্মকর্তা, ওয়ার্ডের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ওয়ার্ড কমিউনিটি ফোরামের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।