ডেস্ক রিপোর্ট : সিঙ্গাপুরে একদিনে রেকর্ড সংখ্যক বাংলাদেশি প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সিঙ্গাপুর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সোমবার (১৩ এপ্রিল) করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ৩৮৬ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়, এটাই এখন পর্যন্ত একদিনে সিঙ্গাপুরে সর্বোচ্চ আক্রান্ত হওয়ার খবর। আর আতঙ্কের বিষয় হচ্ছে তাদের মধ্যে বাংলাদেশি আক্রান্ত হয়েছেন ২০৯ জন, যা অন্য দিনের তুলনায় সর্বোচ্চ। এখন পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে ৮৭৮ জন বাংলাদেশি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
সোমবার সিঙ্গাপুর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৯১৮ জন, চিকিৎসারত অবস্থায় হাসপাতালের ভর্তি রয়েছেন ১ হাজার ১৫৮ জন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউতে আছেন ২৯ জন, সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ৫৮৬ জন।
সিঙ্গাপুরের স্য সুই হক স্কুল অব পাবলিক হেলথের ডিন অধ্যাপক ইক ইন টিও বলেন, সিঙ্গাপুরে শ্রমিক ডরমিটরিতে যা হয়েছে, সেটা অন্যান্য অনেক দেশেও ঘটতে পারে। বিশেষ করে স্বল্পোন্নত বা মধ্যমাপের অর্থনীতির দেশগুলোতে।
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং আফ্রিকার কিছু অঞ্চলে এমন সব জনগোষ্ঠী রয়েছেন যারা ডরমেটরির জীবনের মতো গাদাগাদি করে বসবাস করেন।
তিনি বলেন, গাদাগাদি করে বসবাস করার কারণে নিয়ন্ত্রণহীন সংক্রমণ ঠেকাতে কী করা যেতে পারে সে ব্যাপারে সরকারগুলোকে দ্রুত স্বচ্ছতার সাথে ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রফেসর টিও’র সহকর্মী প্রফেসর লি ওয়াং সু বলেন, সিঙ্গাপুরের ঘটনা সামজিক এবং শ্রেণি বৈষম্যের বাস্তবতাকে নগ্ন করে দিয়েছে যেটা সরকারগুলোর জন্য আরেকটি শিক্ষা হতে পারে। এই ভাইরাস আমাদের সমাজের দুর্বল দিকগুলো খুব পরিষ্কার করে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে – অভিবাসী শ্রমিকদের পরিস্থিতি তারই একটি জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ।
প্রফেসর সু বলেন, সিঙ্গাপুর আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করেই এইসব ডরমিটরি তৈরি করেছে, কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারী প্রমাণ করেছে সেসব মান যথেষ্ট নয়।
সিঙ্গাপুরের শ্রমশক্তি বিষয়ক মন্ত্রী জোসেফিন টিও এসব শ্রমিক ডরমেটরির মান বাড়ানোর অঙ্গীকার করেছেন। তিনি বলেন, এটি করা সঠিক।