রংপুর প্রতিনিধি : গত ১৭ আগস্ট গভীর রাতে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের হাজিরহাট থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) রাজিবুল ইসলামের নেতৃতেরংপুর সিটি কর্পোরেশনের ১২ নং ওয়ার্ডে বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত সোবান আলী (আনছার)- ও সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম এর বাড়িতে গিয়ে পরিবারের

সদস্যদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে পরিবাবের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করেন সাবেক কাউন্সিলর মোঃ রবিউল আবেদীন রতন ।সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, পুলিশ সদস্যরা অতর্কিতভাবে বাড়ির দরজায় ধাক্কাধাক্কি করে এবং অকথ্য ভাষায়গালিগালাজ করে পরিবারের সদস্যদের আতঙ্কিত করে।
এমনকি মুক্তিযোদ্ধার নাতি, যিনি একজন সাংবাদিক, তার হাতে থাকা মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট সমূহে প্রবেশ করেন যা আইন ও সংবিধান পরিপক্ষী।

রবিউল আবেদীন রতন দাবি করেন, এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম। কিন্তু এর পর থেকে ভুক্তভোগী পরিবার বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকির শিকার হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকদের কলমের শক্তি দেশের গণঅভ্যুত্থান থেকে শুরু করে সমাজের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
অথচ একজন সাংবাদিকের ব্যক্তিগত ফোন কেড়ে নেওয়া পুলিশের ক্ষমতার অপব্যবহার ছাড়া আর কিছুই নয়। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবার, স্থানীয় সাংবাদিক ও এলাকাবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে, আমরা ভুল বসত: মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে যাই এমন মন্তব্য করে হাজিরহাট থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) রাজিবুল ইসলাম বলেন, কোম্পানীর ভিতর থেকে, বের হয়ে দেখি একগন মোবাইল ফোন দিয়ে আমাদের ভিডিও করছেন।
তার ফোনটি আমি হাতে নেই। তখন তিনি একজন সাংবাদিক বলে আমাকে জানান। সোর্স কিংবা পুলিশ নিশ্চিত না হয়ে কেনই বা একজন মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে গভির রাতে ডাকাডাকি করা বা সাংবাদিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার বিষয়ে কোন সদোউত্তর দিতে পারেনি তিনি।