সাবেক আওয়ামী ফ্যাসিবাদী চিহ্নিত গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্তাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ।

নিজস্ব প্রতিবেদক : কথায় আছে সুযোগ পেলেই নিজেরটা আগে, পরে দেখা যাবে বাকিটা। আমি যেমনই হই পদোন্নতি আমার দরকারই। এমনই চলছে বাংলাদেশের অন্যতম একটি দপ্তর গণপূর্ত অধিদপ্তর। যেখানে টাকা ছাড়া কোন কাজই হয় না। ঠিকাদার থেকে প্রকৌশলী মিলেমিশে গিলে খাচ্ছে যুগে যুগে এই খাতকে।এদিকে এক প্রকৌশলী তিনি এক আলোচনায় বলে আমরা আওয়ামীপন্থী না তাতে কি? গত আমলে চুপচাপ চাকরি করছি। কোন দুই নম্বরী করিনি।
কিন্তু চীফ ইন্জিনিয়ারের কাছের লোক না তাই মফস্বলে বদলি হতে হয়েছে। চীফকে ওপর থেকে বিতর্কিতদের সরাতে বলা হয়েছে আর এই সুযোগে তিনি নিজের অপছন্দের লোকদের সাইজ করেছেন। বড় বড় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বদলি নাই। চীফ নিজেও আগের আমলের। বিষয়টি নিয়ে আমরা বিএনপিপন্থীরা একসঙ্গে উপরমহলে কথা বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দুর্নীতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরি করছি।

চীফ ইন্জিনিয়ার শামীম আখতার ও তার কাছের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে বলছিলেন বিএনপিপন্থী কয়েকজন প্রকৌশলী ও ঠিকাদার। প্রকৌশলীদের কয়েকজনকে গত কয়েক মাসে বদলী করো হয়েছে।

এ প্রকৌশলীরা বলছেন, আওয়ামী লীগ এর নাম ভাঙ্গিয়ে চলতেন তত্ত্বাবধয়ক প্রকৌশলী মো: কায়কোবাদ। প্রধান প্রকৌশলীর নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন নির্বাহী প্রকৌশলী ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীদের বদলীর ভয় দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন এবং একইসাথে নিয়োগ-বদলী ও পদোন্নতি বানিজ্য করে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন। বর্তমানে আবার ভোল পাল্টে “বিএনপি” সাজার অপচেষ্টা করছেন। কথিত “বিএনপি পন্থী” ঠিকাদারদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলছেন। কিন্তু আমরা তাকে চিনি। আগের আমলে কি করেছে সব তথ্য আমরা সংগ্রহে রেখেছি।
অভিযোগ উঠেছে, এসব অবৈধ অর্থ দিয়ে তিনি নামে বেনামে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছ্ন যার মধ্যে রয়েছে ঢাকার পাশেই নির্মানাধীন ১০ তলা বাড়ি, গ্রামের বাড়ি শেরপুরে কয়েকশত বিঘা জমি, ঢাকার মোহাম্মদপুরে ইকবাল রোডে বিলাসবহুল ফ্লাট, ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বিলাসবহুল ফ্লাট ও বাড়ি, পরিবারের ব্যবহারের জন্য দামী গাড়ী এবং বিদেশে অর্থপাচার করে গড়ে তুলেছেন কয়েকটি বাড়ি গাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। কমিশন বানিজ্য, কিছু অসাধু ঠিকাদার ও কর্মকর্তা নিয়ে গড়ে তোলেন ভয়ংকর সিন্ডিকেট।
অভিযোগ উঠেছে, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদের নেতৃত্বে একটি চক্র কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অন্তত ৬ জন নির্বাহী প্রকৌশলীর নিকট থেকে প্রধান প্রকৌশলীর নাম ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই সিন্ডিকেট।
গনপূর্ত অধিদপ্তরের ই-এম সার্কেল -২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো: কায়কোবাদের অধীনে রয়েছে ইএম বিভাগ ৪, ৫,৭। প্রতিটি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্তর দুর্নীতি ও অনিয়মের আলাদা খতিয়ান। অথচ এ সমস্ত অনিয়ম ও দুর্নীতির দায় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এড়াতে পারে না। তার বিষয়ে মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সরাসরি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিবের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
তার অধীনে ৩ জন নির্বাহী প্রকৌশলী আছেন। ই-এম বিভাগ-৪, মো: মহিবুল ইসলাম, ই-এম বিভাগ-৬ বিভাগ। প্রত্যেক নির্বাহী প্রকৌশলীর আলাদা আলাদা দপ্তর। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে রয়েছে আলাদা আলাদা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ।
কায়কোবাদ বর্তমান প্রধান প্রকৌশলীর অত্যন্ত আস্থাভাজন হওয়ার কারনে গনপূর্ত ই-এম সার্কেল চট্রগ্রাম থেকে ঢাকার গুরুত্বপূর্ন ই-এম সার্কেল-২ এর পদায়ন করা হয়েছে।
সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল আলমের সময় তিনি তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (ই-এম) গনপূর্ত ই-এম প্লানিং সার্কেলে কর্মরত ছিলেন। ওই সময়েও তার বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ ছিলো।
এ বিষয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের ঢাকা ই-এম সার্কেল-২ এর তত্তাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদের বক্তব্য জানতে তার মোবাইলে যোগাযোগ করা কলে তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় তার কোন প্রকার বক্তব্য প্রকাশিত হলো না।