গণপূর্ত অধিদপ্তরের দুর্নীতির বরপূত্র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদের ভয়ংকর মিশন বাস্তবায়নে কাজ করছে  গৃহপালিত দালাল সাংবাদিক কাম ঠিকাদর

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক  :  গণপূর্ত অধিদপ্তরের দুর্নীতির বরপূত্র খ্যাত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ অবৈধভাবে অর্জিত কালো টাকা নিয়ে পদোন্নতি বাগিয়ে নেয়ার নতুন এক ভয়ংকর মিশনে নেমেছেন। চুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দোসর কায়কোবাদের নতুন মিশন বাস্তবায়নে সারথী হয়েছেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের ঠিকাদার ও মিলেনিয়াম ট্রেডার্স এর স্বত্ত্বাধিকারী আলী আকবর, ঠিকাদার মোহনসহ কতিপয় সুযোগ সন্ধানী।


বিজ্ঞাপন

গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্ভরযোগ্য একটি সুত্রের দাবি  কায়কোবাদের গৃহপালিত ওই দালাল সাংবাদিকরা কেউ শ্যালক, কেউ ছোট্ ভাই কেউ আবার তার মনরঞ্জনের সাপ্লায়ার। তারা কায়কোবাদ কে ধুয়া তুলশী বানাতে নিজেরাই তথ্য সন্ত্রাস ও দালালী  করে কায়কোবাদের কাছ থেকে অবৈধ সুযোগ সুবিধা নিয়ে “বগলদাবাা গোছের সাপ্তাহিক”, “অর্ধবার্ষিক দৈনিক” ও “হঠাৎ অনলাইন নিউজ পোর্টালে” কায়কোবাদের পক্ষে তার সকল অনিয়ম ও দুর্নীতি’র তথ্য আড়াল করে  ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠির বলে প্রপাগাণ্ডা মূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।

যারা আবার নিজেদের ”সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সাংবাদিকদের প্রাণনাশের হুমকিদাতা কায়কোবাদের পক্ষ নিয়ে নাম সর্বস্ব পত্রিকায় বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের বিরুদ্ধে ”তথ্য সন্ত্রাস” আখ্যা দিয়ে  প্রিপেইড  নিউজ করাচ্ছে। এটাকে চোরের স্বাক্ষী গাঁটকাটা বলে সংশ্লিষ্ট মহল অভিহিত করছেন। কায়কোবাদের নতুন মিশন বাস্তবায়নে তার দুর্নীতির বিরুদ্ধে নিউজ করা সাংবাদিকদের রক্ত ঝরানোর ভয়ংকর পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানাগেছে।


বিজ্ঞাপন

সূত্রমতে, গণপূর্ত অধিদপ্তরের এক গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে কর্মরত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. কায়কোবাদ দীর্ঘদিন যাবত দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার অনিয়ম চালিয়ে আসছেন। তবু তিনি সরকারের পদোন্নতির সুযোগ পেতে গত কয়েক সপ্তাহ যাবৎ মাঠে নেমে লড়াই করছেন।


বিজ্ঞাপন

পদ কিনতে ১০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা। সরকারের দুর্নীতি বিরোধী অবস্থানের মাঝে কায়েকবাদের মতো দোষী কর্মকর্তার পদোন্নতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে প্রশাসনিক স্বচ্ছতার ওপর। গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতারও তার পদোন্নতি নিশ্চিত করতে নিরলস প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যা অধিদপ্তরের দুর্নীতির গভীরতা এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের চিত্র ফুটি উঠে।

কায়েকবাদ ছাত্রজীবনে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে নিবিড় সম্পৃক্ত ছিলেন। দলের আশ্রয়ে তিনি সরকারি চাকরিতে এসে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অবস্থান গ্রহণ করেন। তার অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ছিলেন সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম যিনি বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের নেতা।

এই রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ঘনিষ্ঠতার কারণে কায়েকবাদ সরকারি প্রকল্প থেকে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি চালাতে সক্ষম হন। তার এই ঘরানার দুর্নীতি বহু বছর ধরে চালিয়ে আসছেন। কর্মজীবনে ইএম ডিভিশন-৭, ইএম সার্কেল-১ এবং চট্টগ্রামসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে দায়িত্ব পালনকালে তিনি প্রকৃত কাজ না করে ভুয়া প্রাক্কলন তৈরি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

কায়েকবাদ এবং তার পৃষ্ঠপোষকরা এমন একটি মডেল গড়ে তুলেছেন, যেখানে টেন্ডার-বণ্টন ও অর্থের ফ্লো সম্পূর্ণ তাদের নিয়ন্ত্রণে। গণপূর্ত অধিদপ্তরের একাধিক কর্মচারী ও ঠিকাদাররা স্বীকার করেছেন, তিনি ছাড়াই বড় কোন কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল না।

গতবারের ৫ আগস্টে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার রক্তেমাখা হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে সাবেক আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা কে এক অনুষ্ঠানে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন কায়কোবাদের দুর্নীতি’র পৃষ্ঠপোষক গণপূর্ত অধিদপ্তরের পীর সাহেব খ্যাত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতারসহ তার সিন্ডিকেটের সদস্যরা।

 

গণপূর্তের পীর সাহেব খ্যাত প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতারও দুর্নীতির কেন্দ্রীয় চরিত্রে। তিনি মেধাতালিকার সপ্তম স্থান অধিকার করেও ক্ষমতাশালী পৃষ্ঠপোষকদের কারণে চলতি দায়িত্বে আছেন, কিন্তু এখনও নিয়মিত পদে পদোন্নতি পাননি। অবৈধভাবে চলতি দায়িত্ব পালন করায় তার নিয়োগ শর্তে প্রশ্নবিদ্ধ। তবে শামীম আখতার কায়েকবাদকে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি দিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন।

এ কারণেই কায়েকবাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও পদোন্নতির জন্য আত্মপ্রত্যয়ী। দুজনের মধ্যে রয়েছে এক দীর্ঘমেয়াদি দুর্নীতি চক্র, যেখানে টেন্ডার বণ্টন থেকে শুরু করে অর্থের ভাগাভাগি পর্যন্ত সবকিছু পরিচালিত হয় তাদের মাধ্যমে। গণপূর্তের অফিসার-কর্মচারীরা এ সম্পর্কে মুখ খুলতে ভয় পান।

২০১৫ সাল থেকে দুর্নীতির অভিযোগে পদোন্নতি আটকে থাকার পরও কায়েকবাদ তার প্রভাবশালী পৃষ্ঠপোষকদের সহযোগিতায় মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে তৎপরতা বাড়িয়েছেন। তার লক্ষ্য ছিল বাধা কাটিয়ে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি পাওয়া। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিবের টেবিলে পদোন্নতির ফাইল আটকে আছে। তবুও কায়েকবাদ তার ব্যক্তিগত প্রভাব খাটিয়ে এই সচিবকে ঘুরিয়ে ফেলার জন্য নানা মানবাধিকার কর্মী ও মধ্যস্বত্বভোগীদের কাজে লাগিয়েছেন।

গণপূর্ত অধিদপ্তরে ফ্যাসিস্ট সরকারের সুবিধাভোগী দুর্নীতিবাজ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. কায়কোবাদকে পদোন্নতি দেয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে গণপূর্তের চলতি দায়িত্বে থাকা প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার। তাকে পদোন্নতি দিয়ে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী করার প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলেও কায়কোবাদের দুর্নীতি, গোয়েন্দা সংস্থা ও দুদকের ছাড়পত্র না মেলায় এখনো পদোন্নতি দেয়া হয়নি তাকে।

সবকিছু ধামাচাপা দিয়ে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর পদ বাগাতে নিজের অফিসেই বসছেন না এই তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী। তাঁর দপ্তরে তার অধীনস্থ বিভাগের শতাধিক প্রাক্কলন পড়ে থাকলেও সেগুলো পাশে মনোযোগী না হয়ে দিনভর মন্ত্রণালয়, দুদক ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ছাড়পত্র নিতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

ছাত্রজীবনে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় এবং সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলমের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদে সম্পৃক্ত থাকায় মন্ত্রণালয়ের জামাতঘেষা সচিব তার পদোন্নতির ফাইল আটকে রেখেছেন।

দুর্নীতিবাজ জেনেও কায়কোবাদকে পদোন্নতি দেয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগে থাকা গণপূর্তের চলতি দায়িত্বের প্রধান প্রকৌশলী যে শামীম আখতারও নিজে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী।

মেধাতালিকার সপ্তম স্থানে থাকা শামীম আখতার সবাইকে ডিঙ্গিয়ে প্রধান প্রকৌশলীর চলতি দায়িত্ব পেয়েছেলিন শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকার দায়িত্বে থাকা সাবেক সচিব শহীদুল্লাহ খন্দকার। মেধাতালিকার প্রথম পাঁচ নম্বরে না থাকায় ফ্যাসিস্ট সরকার আমলেও তাকে প্রধান প্রকৌশলী পদে নিয়মিত করা যায়নি। এখনও তিনি চলতি দায়িত্বেই রয়েছেন। যা সম্পূর্ণ অবৈধ।

কর্মজীবনে মো. কায়কোবাদ ইএম ডিভিশন-৭সহ ইএম-এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ডিভিশনের দায়িত্ব পালনকালে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হন। বিশেষ করে ইএম ডিভিশন-৭ এ দায়িত্ব পালনকালে কোনো কাজ না করেই ভুয়া প্রাক্কলন দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। আওয়ামী লীগের আস্থাভাজন হিসেবে তিনি জাতীয় সংসদ ভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, গণভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ ও সার্কেলের দায়িত্ব পালন করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন।

মুজিববর্ষ উদযাপনে গণপূর্ত অধিদপ্তর যে চার শ’ কোটি টাকারও বেশি খরচ করে তার মধ্যে ২০০ কোটি টাকা কায়কোবাদই হাতিয়ে নিয়েছেন। তৎকালীণ প্রধান প্রকৌশলী বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের নেতা আশরাফুল আলমের হয়ে তিনি সকল টেন্ডার থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন।

পূর্ত ভবনে প্রচলিত রয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ, স্টাফ অফিসার নির্বাহী প্রকৌশলী শফিউল হান্নান ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী কল্যাণ কুন্ডুর সংকেত ছাড়া কেউ কাজ পেতো না। সে সময়ে জিকে শামীমের বাতিল হওয়া কাজগুলোকে বিভিন্ন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে পাইয়ে দেয়ার জন্য এই তিনজন প্রধান প্রকৌশলীর হয়ে কমিশন তুলতেন।

ইএম সার্কেল-১ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, ইএম সার্কেল চট্টগ্রামের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী থাকাকালে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। সবচে’ বেশি টাকা হাতিয়েছেন মিরপুরে হওয়া সরকারি আবাসিক ভবনের টেন্ডার থেকে। যার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল তৎকালীন মিরপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী আমান উল্লাহ সরকার।

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি এবং ইএম জোনের দায়িত্ব পেতে কমপক্ষে ১০ কোটি টাকার মিশন নিয়ে নেমেছেন এই প্রকৌশলী। ইতিমধ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টার বন্ধু এক মানবাধিকার কর্মীকে ম্যানেজ করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন। এখন দেখার বিষয়, বর্তমান সচিব ও এ্যাডমিনিস্টেশন এসোসিয়েশনের সভাপতিকে কতোটা গলাতে পারেন এই কায়কোবাদ।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের ই-এম সার্কেল-২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো: কায়কোবাদ সাবেক প্রধান প্রকৌশলীর নাম ভাঙ্গিয়ে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছেন। নিয়োগ-বদলী ও পদোন্নতি ছাড়াও অনিয়ম এবং দুর্নীতির খবর যাতে ফাঁস না হয়, সেজন্য তার নেতৃত্বে একটি নির্দিষ্ট সিন্ডিকেট নির্বাহী প্রকৌশলীদের নিকট থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

উক্ত সিন্ডিকেটের সদস্যরা হলেন, ফয়সাল, যিনি সাবেক প্রধান প্রকৌশলীর ষ্টাফ অফিসার ও বর্তমানে নির্বাহী প্রকৌশলী (উন্নয়ন) গনপূর্ত ভবন। রয়েছেন কল্যান কুমার কুন্ড; তিনি প্রধান প্রকৌশলীর ষ্টাফ অফিসার বর্তমানে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (সিভিল) মিরপুর। আছেন রাজীব-নির্বাহী প্রকৌশলী সার্কেল-১ বর্তমানে অথরাইড অফিসার রাজউক। টিটু উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী ধানমন্ডি, বর্তমানে নির্বাহী প্রকৌশলী। কায়কোবাদের নেতৃত্বে এই চক্রটি কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। নির্বাহী প্রকৌশলী পবিত্র কুমার দাস, সাজেদুল, আব্দুল হালিম, আনোয়ার হোসেন, সমীরণ মিস্ত্রি, জাহাঙ্গীর আলম, প্রত্যেকের নিকট থেকে প্রধান প্রকৌশলীর নাম ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই সিন্ডিকেট।

অনিয়ম ও দুর্নীতির সমস্ত অলিগলি কায়কোবাদের চেনা । গনপূর্ত অধিদপ্তরের ই-এম সার্কেল -২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো: কায়কোবাদের অধীনে রয়েছে ইএম বিভাগ ৪, ৫,৭ । প্রতিটি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্তর দুর্নীতি ও অনিয়মের আলাদা খতিয়ান। এ সমস্ত অনিয়ম ও দুর্নীতির দায় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এড়াতে পারে না।

মো. কায়কোবাদের অতীত কর্মকান্ড ঘেঁটে দেখা যায়, বড় বড় মাফিয়া ঠিকাদারদের সঙ্গে তার সখ্য। তাদের হয়ে কাজ করেন তিনি। তাদের কাছ থেকে পান মোটা অংকের কমিশন। এ কারনেই তিনি ধরাকে সরা জ্ঞান করছেন। তার সার্কেলের একাধিক নির্বাহী প্রকৌশলী কাজ না করেই বিল তুলে নিয়েছেন। এমন তথ্য প্রমাণ বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও সেগুলো তদন্তে আলোর মুখ দেখেনি। নির্বাহী প্রকৌশলী পবিত্র কুমার দাস কাজ না করে বিল তুলে নেওয়ার পরেও তা মন্ত্রনালয়, অধিদপ্তর এমনকি দুদক তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।

তার বিষয়ে মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সরাসরি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিবের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। যার দায় দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হিসেবে মো.কায়কোবাদও এড়াতে পারেন না। ই-এম বিভাগ-৫ এর নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরেও কাজ না করে বিল তুলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পত্রিকার নিচে ডান পাশে কায়কোবাদের প্রতিবাদ কাম দালালী কাম বিজ্ঞাপন ছাপিয়েছেন কায়কোবাদের কথিত শ্যালক মোহন। 

একজন তত্তাবধায়ক প্রকৌশলীর তার বেতন কত? তা বিশ্লেষণ করলেই প্রমাণ হয় তিনি কতটুকু সৎ । মো: কায়কোবাদের বাবার নাম ইউনুস আলী সরকার। জাতীয় পরিচয় পত্র নং-১৯৬৭২৬৯৯০৪০৭২১৬০১ । তার অধীনে ৩ জন নির্বাহী প্রকৌশলী আছেন। ই-এম বিভাগ-৪, মো: মহিবুল ইসলাম, ই-এম বিভাগ-৬ পবিত্র কুমার দাস। প্রত্যেক নির্বাহী প্রকৌশলীর আলাদা আলাদা দপ্তর। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে রয়েছে আলাদা আলাদা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ।

কায়কোবাদ বর্তমান প্রধান প্রকৌশলীর অত্যন্ত আস্থাভাজন হওয়ার কারনে গনপূর্ত ই-এম সার্কেল চট্রগ্রাম থেকে ঢাকার গুরুত্বপূর্ন ই-এম সার্কেল-২ এর পদায়ন করা হয়েছে। সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল আলমের সময় তিনি তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (ই-এম) গনপূর্ত ই-এম প্লানিং সার্কেলে কর্মরত ছিলেন। ওই সময় তার বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ ছিলো।

তিনি তৎকালীন প্রধান প্রকৌশলীর নাম ভাঙ্গিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সাবেক প্রধান প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ যদি দুদক অনুসন্ধান করতে পারে, তাহলে আশরাফুল আলমের ক্যাশিয়ার খ্যাত মো: কায়কোবাদের বিষয়ে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছেনা কেন-এটাই সংশ্লিষ্ট মহলের প্রশ্ন। অভিযোগ রয়েছে অবৈধভাবে বিপুল পরিমান জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের মালিক হয়েছেন। দেশে বিদেশে তার ও পরিবারের সদস্যদের নামে বেনামে বিপুল পরিমান সম্পদ রয়েছে। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডের বিলাস বহুল ফ্ল্যাটের মালিক তিনি।

যার বাজার মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা। ঢাকার ধামরাইতে তার একটি ১০ তলা ফাউন্ডেশন ভবনের কাজ চলমান রয়েছে। তার গ্রামের বাড়ী শেরপুরে রয়েছে নামে বেনামে অঢেল সম্পদ। পরিবারের ব্যবহারের জন্য রয়েছে লেটেস্ট মডেলের প্রিমিও গাড়ী। তার সার্কেলের সকল কাজের উপর ৪ থেকে ৫ শতাংশ হারে টাকা কমিশন নেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রথমে একজন ঠিকাদার কাজ পাওয়ার আগেই জমা দেওয়ার সময় উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর দপ্তরের নির্দিষ্টহারে কমিশন নগদ টাকা জমা দিয়ে কাজ নিতে হয়। শুরু হয় টাকা নেওয়ার পালা। এবার নির্বাহী প্রকৌশলী ও তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলীর দপ্তরের নির্দিষ্ট হারে কমিশনের টাকা বন্টন করতে হয়।

উপ-সহকারী প্রকৌশলী,উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ৫ শতাংশ মোট ১০ শতাংশ এবং নির্বাহী প্রকৌশলীর জন্য ১০ শতাংশ ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর দপ্তরে ৫ শতাংশ অর্থ দিতে হয় ঠিকাদারদের। এছাড়া অন্যন্য খাতে ২-৩ শতাংশ হারে কমিশনের টাকা নগদে প্রদান করতে হয়। ঠিকাদারের কাজ নেয়া থেকে শুরু করে বিল পাওয়া পর্যন্ত ২৫ থেকে ২৮ শতাংশ পর্যন্ত কমিশন দিতে হয় ।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের ই-এম সার্কেল-২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো: কায়কোবাদের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ,ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়ম দুর্নীতির বিস্তারিত থাকবে পরবর্তী পর্বে ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *