পটুয়াখালী প্রতিনিধি : করোনার প্রভাবে পটুয়াখালীতে অন্যান্য পেশার মতো নৌযানের ওপর নির্ভরশীল শ্রমিক, ঘাটসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরাও পড়েছেন বিপাকে। এক মাস ধরে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় কর্মহীন হয়ে মানবেতর দিন কাটছে তাদের। লঞ্চ মালিকদের দাবি, আয় বন্ধ ও ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে শ্রমিকদের বেতন দিতে পারছেন না তারা।
প্রতিদিন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নৌপথে পটুয়াখালী যাতায়াত করতো হাজার হাজার মানুষ। এতে জীবিকার ব্যবস্থা হতো লঞ্চ শ্রমিক, কুলি ও ঘাটের ইজারাদারদের। করোনা সংক্রমণ রোধে গত ১ মাস ধরে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় নৌ সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা পড়েছেন চরম বিপাকে। পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর দিন কাটছে তাদের।
লঞ্চ ঘাট ইজারাদার মো. হাফিজুর রহমান ছবির বলেন, যারা সরাসরি এই লঞ্চ ঘাটের সুবিধা ভোগ করে তারা খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে।
শুধু নৌ শ্রমিকরাই নন ঘাটে থাকা দোকান ও হোটেল ব্যবসায়ীদেরও একই অবস্থা।
লঞ্চ ব্যবসা বন্ধ থাকায় ও ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে শ্রমিকদের বেতন দিতে পারছেন না বলে দাবি লঞ্চ মালিকদের। এ অবস্থায় সরকারি সহায়তা চেয়েছেন তারা।
লঞ্চ মালিক মো ছাবু গাজী বলেন, এই যে লঞ্চ ব্যবসা করছি, তা সলে চলবে কি চলবে আমার তা জানা নেই।
পটুয়াখালী জেলার সাথে ১৮টি রুটে ছোট বড় ৪৯টি লঞ্চ চলাচল করে। এতে ৩৪টি ঘাটে কর্মসংস্থান হয় প্রায় ২ হাজার শ্রমিকের।