লকডাউন রাখলে সংকট তুললেও বিপদ

আন্তর্জাতিক

ডেস্ক রিপোর্ট : লকডাউন তুলে নেয়ার পর জার্মানির একটি সড়কে মানুষের ভিড়। এতে নতুন করে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে গেছে।
একদিকে লকডাউনে আয়-রোজগারের পথ বন্ধ অন্যদিকে ঘরের বাইরে বের হলেই করোনায় সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকির মধ্যে বিশ্বের প্রায় সব দেশই পড়েছে উভয়সংকটে। এরইমধ্যে লকডাউন শিথিল করায় অনেক দেশই দ্বিতীয় দফা করোনা-ধাক্কার মুখোমুখি হতে চলেছে।
করোনার প্রথম ধাক্কা সামলে না উঠতেই লকডাউন তুলে দিয়ে চীন, জার্মানি ও দ. কোরিয়ার মতো উৎপাদনশীল দেশগুলো প্রাণ সংহারক ভাইরাসটির দ্বিতীয় ধাক্কার কবলে পড়তে যাচ্ছে বলে খবর দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন জারি করেই চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও জার্মানি সংক্রমিতের সংখ্যা কমিয়ে এনেছিল। অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে অনেক দেশই লকডাউনের কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল করে দোকানপাট ও স্কুল-কলেজ খুলে দিয়েছে। এর ফলে এসব দেশে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা লাগা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে চীনে ও জার্মানিতে নতুন সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ছে পাল্লা দিয়ে।
চীনে নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধির পেছনে লকডাউন তুলে দেওয়াকে দায়ী করেছেন পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ বিভাগের পরিচালক ওয়াং গুইকিয়াং। চীনে আগের বার আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠা অনেকেই ফের আক্রান্ত হওয়ায় দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের চিকিৎসকদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে বলে সংবাদ মাধ্যম ব্লুমবার্গ জানিয়েছে।
এক প্রতিবেদনে ব্লুমবার্গ বলেছে, চীনে রোববার নতুন করে ১৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ২৮ এপ্রিলের পর এটাই একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণ দেশটিতে। অথচ আগের দিনও আক্রান্ত ছিলেন মাত্র একজন।
একই অবস্থার মুখোমুখি হতে চলেছে আরেক উন্নত দেশ দক্ষিণ কোরিয়াও। হঠাৎ করেই দেশটিতে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩৪ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর দিয়েছে কোরিয়ান বার্তা সংস্থা দ্যা ইয়ানহাপ।
কোরিয়ান রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রকে (কেসিডিসি) উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থাটি বলেছে, এই ৩৪ জনের মধ্যে ২৬ জেই স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত। গত এক মাসে দেশটিতে প্রথমবার একদিনে এটিই সর্বোচ্চ আক্রান্ত হওয়ার খবর।
ইউরোপের দেশ জার্মানিতেও লকডাউন শিথিল করার পর করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। এখনই জোরালো পদক্ষেপ না নিলে সংক্রমিতের হার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে বলে আশঙ্কা দেশটির কর্মকর্তারা। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৬৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
গত সপ্তাহে ১৬টি অঙ্গরাজ্যের নেতাদের চাপের মুখে পড়ে লকডাউন শিথিলের ঘোষণা দিয়েছিলেন জার্মানির সরকারপ্রধান অ্যাঞ্জেলা মার্কেল। দোকানপাট ও স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার পর থেকে সংক্রমণের হারও বেড়ে চলেছে।


বিজ্ঞাপন