রেকর্ড শনাক্তের দিন ২০ জনের মৃত্যু

এইমাত্র জাতীয় সারাদেশ স্বাস্থ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে নতুন করে আরও ১ হাজার ৮৭৩ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া গেল ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ২০ জন। করোনা ভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে শনিবার (২৩ মে) দুপুরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

বুলেটিনে অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, গেল ২৪ ঘণ্টায় মোট ১০ হাজার ৮৩৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৮৭৩ জনের শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত হলেন ৩২ হাজার ৭৮ জন।

তিনি আরও বলেন, গেল ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ২০ জন মারা যাওয়ায় দেশে ভাইরাসটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৫২ জনে। এছাড়া এই সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২৯৬ জন এবং এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৪৮৬ জন।

এর আগে শুক্রবার দেশে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। একই সঙ্গে বিশ্বের দুই শতাধিক দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় করা তালিকায় বাংলাদেশ উঠে আসে ২৭ নম্বরে।

দেশে ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্তের পর থেকে ওই মাসে সংক্রমণের সংখ্যা অনেকটা এক রকমই ছিল। কিন্তু এপ্রিলের এসে তা ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে। বর্তমানে প্রায় প্রতিদিনই সহস্রাধিক রোগী শনাক্ত হচ্ছেন।

তবে এই আতঙ্কের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী আলোচিত ওষুধ রেমডিসিভির উৎপাদন শুরু করেছে বাংলাদেশ। গেল বৃহস্পতিবার ওই ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাস তা স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের হাতে তুলে দেয়। এছাড়া বাংলাদেশ পুলিশ হাসপাতালও দুটি ওষুধ প্রয়োগে ব্যাপক সফলতা পাওয়ার দাবি করেছে।

ওষুধের পাশাপাশি ভ্যাকসিন নিয়ে তো কাজ চলছেই। শতাধিক প্রতিষ্ঠান ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য কাজ চালিয়ে গেলেও এখনো পুরোপুরি সফলতার তথ্য মেলেনি কারো থেকে। তবে খুব শিগগিরই এই ভাইরাসের ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে না বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন কিছু বিশেষজ্ঞ।

মানুষের ভয়-ভীতি, শঙ্কা আর বিশেষজ্ঞদের সম্ভাবনের বুলির মধ্যে করোনায় সংক্রমণ বাড়ছেই। এখন পর্যন্ত বিশ্বে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৩ লাখ ৮১ হাজার ৯০ জনে। এছাড়া ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হওয়ার পর মারা গেছেন ৩ লাখ ৪০ হাজার ৭৫ জন এবং সংক্রমণ মুক্ত হয়েছেন ২১ লাখ ৬০ হাজার ৮৭৭ জন।