মানবিকতার প্রতিচ্ছবি

অপরাধ এইমাত্র জাতীয় রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক : মানবিকতার প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছে লালবাগ ডিভিশনের পুলিশ সদস্যরা। করোনায় এ মহামারীর সময় মৃত্যুর ঝুঁকি উপক্ষো করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন পুলিশ বাহিনীরা। মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি কর্মহীন ও অসহায়দের মধ্যে খাদ্য সহায়তা মাস্ক ও ঈদ সামগ্রী পৌছে দেয়। পাড়া মহল্লায় চেকপোষ্ট ও নানামুখী কাজ করে চলছেন বংশাল পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই নুর আলম মিয়া। ও তার সহযোগী সদস্যরা। তাদের এ কাজ সবার কাছে প্রশংসা জুড়িয়েছ। এ কাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন লালবাগ ডিভিশনের উপ-পুলিশ কমিশনার মুনতাসিরুল। পরিচালনা করেছেন বংশাল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহীন ফকির ও বংশাল ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরে আলম মিয়া। করোনা সংক্রমন শুরু হওয়ার পর থেকে কখনো পাড়া-মহল্লায় ছুটেছেন এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। কখনো কখনো নিজের পকেটের টাকা খরচ ও ঔষধ কিনে তুলে দিয়েছেন কর্মহীন মানুষদের হাতে। এ কারণে লালবাগ ডিভিশনে ও সারা বাংলাদেশে ব্যাপক আলোচিত এই নুরে আলম মিয়া। পুলিশ কিভাবে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছেন জানতে চাইলে উপ-পুলিশ কমিশনার মুনতাসিরুল বলেন জনগণের জানমালের নিরাপত্তার পাশাপাশি মানবিক সাহায্যের বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আইজিপি মহোদয়ের আহ্বান পুলিশকে মানবিক হতে হবে, মানবিকতার আচরণ করতে হবে। আমরা সেই নির্দেশ মতো কাজ করে যাচ্ছি। উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন করোনা প্রচারপত্র বিলি করে মানুষকে করোনা সম্পর্কে সচেতন করার চেষ্টা করেছি। সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখেছি, জনসমাগম স্থলে সাইনবোর্ড ও ব্যানার ফেস্টুন টানিয়ে করোনা সম্পর্কিত বিভিন্ন সতর্ক বার্তা ও নির্দেশনা ব্যবস্থা বিধি মেনে চলার জন্য জনসাধারণকে আহ্বান জানিয়েছি। লকডাউন নিশ্চিত করার জন্য লালবাগ ডিভিশনে ও গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশ পথ গুলোতে চেকপোষ্ট বসিয়েছি। পুলিশের পক্ষ থেকে আমরাই প্রথম করোনা ভাইরাস ইমার্জেন্সি রেন্সপন্সিটিভ টিম গঠন করি। ১নং টিমের লিডার এসআই নুরে আলম মিয়া খাদ্য সামগ্রী, ঔষধ সহায়তা মানুষের কাছে পৌছে দিচ্ছে। আর খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে। আমি এই দেশের মাটির সন্তান। মাটির কাছে আমার অনেক ঋণ রয়েছে। করোনার এ সময় আমি যদি নিজেকে গুটিয়ে রাখি তাহলে নিজের প্রতারণা করা হবে। তাই নিজের সাথে আপোষ করতে পারছিনা।


বিজ্ঞাপন