বিনিয়োগের পরিবেশকে আকর্ষণীয় করতে হবে

এইমাত্র জাতীয় রাজধানী রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের জনসংখ্যা ও ভূমিকে কাজে লাগিয়ে বিনিয়োগ বাড়াতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাসের চলমান সংকটের মধ্যেই দেশের অর্থনীতি এগিয়ে নিতে হবে, সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমাদের বিনিয়োগের পরিবেশকে আকর্ষণীয় করতে হবে। বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) গভর্নিং বোর্ডের সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সংযুক্ত হয়ে এ নির্দেশনা দেন।
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংকটে ব্যবসা-বাণিজ্যের বৈরিতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে সবকিছুই সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু এই সমস্যার মধ্য দিয়ে কিভাবে আমাদের দেশের অর্থনীতি এগিয়ে নিয়ে যাব, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে এবং আমাদের বিনিয়োগ পরিবেশটাকে আকর্ষণীয় করতে হবে।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের একটা ধাক্কা আমাদের এসেছে, এটা ঠিক। কিন্তু এখন আবার একটা সুযোগও সৃষ্টি হয়েছে। আমাদেরকে আরও বেশি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে, সেটার সুযোগ আছে। অনেক দেশে এখন শিল্প কারখানা বন্ধ। আমাদের জনসংখ্যা আছে, জমি তৈরি আছে, অন্যান্য সুযোগ সুবিধা আছে। এই সুযোগটায় আমরা কিন্তু ইনভেস্টমেন্ট আরও বেশি আকর্ষণীয় করতে পারি এবং আনতে পারি; আমাদের সেই সুযোগটা রয়েছে।
তিনি বলেন, ২০০৮ এ আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বো ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, সব কিছু সহজ করার জন্য। সেই ডিজিটাল বাংলাদেশ করতে পেরেছি বলেই আজকে আমরা এই রকম একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতেও এখানে বসে বিডার গর্ভনিং বোর্ডের সভা করতে পারছি। আজকে বিনিয়োগের পরিবেশ আমাদের রয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে সব দেশেই সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু এই সমস্যার মধ্যে দিয়েই কিভাবে আমাদের দেশের অর্থনীতি এগিয়ে নিয়ে যাবো সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমাদের কাজ করতে হবে। আমাদের বিনিয়োগ পরিবেশটাকে আকর্ষণীয় করতে হবে। আমরা জাতিসংঘ কর্তৃক এমডিজি খুব দক্ষতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করেছি। এখন আমরা এসডিজি (সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল) এটাও আমরা বাস্তবায়নের জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে আমরা কতোগুলো বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। অবকাঠামো উন্নয়ন এর মধ্যে অন্যতম। কারণ অবকাঠামো উন্নয়ন না হলে কখনো বিনিয়োগ আসতে পারে না। রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে নৌপথ, রেলপথ, আকাশ পথে যোগাযোগ উন্নত করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। বিদ্যুতের সমস্যা ছিল কিন্তু আজকে বিদ্যুৎ আমাদের উদ্বৃত্ত আছে। গ্যাসের সমস্যাটা- নিজেদের গ্যাস উত্তোলনের ব্যবস্থা তাছাড়া পাশাপাশি আমরা গ্যাস আমদানি করছি।
বিনিয়োগের জন্য যেসব পদক্ষেপ নিয়েছি তার ফল মানুষ পেতে শুরু করেছে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আমরা কর অবকাশের সুবিধা দিয়েছি, অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছি সমগ্র বাংলাদেশে। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল। উন্নয়নটা যাতে একটা জায়গায় না হয়ে সমগ্র বাংলাদেশে হয়। আমরা সে ব্যবস্থা নিয়েছি। সেখানে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ সহজে করতে পারবে। শ্রমিকও খুব সহজে পাওয়া যাবে। আমরা প্রশিক্ষণও দিচ্ছি বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, শিল্পায়নের ত্বরান্বিত করতে কর রেয়াত দেওয়া হচ্ছে। মূলধনী সরঞ্জাম আমদানির ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ আমরা দিচ্ছি। ইতিমধ্যে আমাদের পদক্ষেপের বলে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই যে উন্নতিটা, করোনাভাইরাস না এলে আমরা আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারতাম। করোনাভাইরাসে একটা ধাক্কা এসেছে এটা ঠিক। আবার সুযোগও সৃষ্টি হয়েছে। সেটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে। কাজেই কারা বিনিয়োগ করতে চায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে সেই বিনিয়োগ যাতে আমাদের দেশে আসে সে ব্যবস্থা নিতে হবে।
যাতে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার হয় সেজন্য আমরা অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদেরকে আরও বেশি ইনভেস্টমেন্ট আনতে হবে, এটা সুযোগ আছে। অনেক দেশে এখন ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ। আমাদের জনসংখ্যা আছে, জমি তৈরি আছে, অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা আছে। এই সুযোগটায় আমরা কিন্তু ইনভেস্টমেন্ট আরও বেশি আকর্ষণীয় করতে পারি এবং আনতে পারি; আমাদের সেই সুযোগটা রয়েছে। সেই সুযোগটা আমাদের কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে যেন সত্যিকারের সোনার বাংলা গড়তে পারি।


বিজ্ঞাপন