খোলা বাজারে পুষ্টিসমৃদ্ধ চাল

জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : খাদ্য মন্ত্রণালয় ও ডব্লিউএফপি খোলা বাজারে বিক্রয়ের (ওএমএস) জন্য পুষ্টিসমৃদ্ধ চাল (ফর্টিফায়েড রাইস) অন্তর্ভুক্ত করেছে। সোমবার ডব্লিউএফপি কার্যালয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পুষ্টিসমৃদ্ধ চাল তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবহারযোগ্য একটি পণ্য যা বৃহৎ পরিসরে ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি পূরণে অনেক সহায়তা করে। পুষ্টিসমৃদ্ধ চালের দানা দেখতে সাধারণ চালের মতোই, এর রান্নার পদ্ধতি ও স্বাদও সাধারণ চালের মতো, তবে এই দানাগুলোকে সমৃদ্ধ করা হয়ে থাকে ছয়টি অপরিহার্য ভিটামিন ও খনিজ দিয়ে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি১২, ফলিক এসিড, আয়রন ও জিংক। সাধারণ চালের সাথে ১:১০০ অনুপাতে এগুলো মেশানো হয়। সোমবার বাংলাদেশে ডব্লিউএফপি’র প্রতিনিধি ও কান্ট্রি ডিরেক্টর রিচার্ড রেগান, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ এবং ঢাকা রেশনিংয়ের প্রধান নিয়ন্ত্রক মো. জাহাঙ্গীর আলম যৌথভাবে ঢাকা সিটি করপোরেশনের অধীন মোহাম্মাদপুরের চাঁদ উদ্যান এলাকায় কর্মসূচিটির উদ্বোধন করেন।
ঢাকাস্থ নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনাল এবং গে¬াবাল অ্যালায়েন্স ফর ইম্প্রুভড নিউট্রিশন এই কর্মসূচির সপক্ষে সমর্থন বাড়াতে অ্যাডভোকেসির কাজে সহযোগিতা প্রদান করবে।
কর্মসূচির আওতায় বাজারমূল্যের থেকে কম দামে পুষ্টিসমৃদ্ধ চালের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে- স্বল্প আয়ের প্রত্যেক পরিবার প্রতি কেজি ৩০ টাকা (০.৩৬ ইউএস ডলার) মূল্যে প্রতিদিন পাঁচ কেজি পর্যন্ত চাল কিনতে পারবে। এরকম প্রতিটি পরিবার গড়ে প্রতিমাসে ২০ কেজি পর্যন্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ চাল কিনতে পারবে। ওএমএস-এর মাধ্যমে ১ লাখ ৪৪ হাজার পরিবারের প্রায় ৭ লাখ ২০ হাজার মানুষ উপকৃত হবে। সপ্তাহে ছয় দিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১২০ টি কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত দোকানের মাধ্যমে পুষ্টিসমৃদ্ধ চাল বিক্রি করা হবে।
ওএমএস একটি জনমুখি খাদ্য বিতরণ কর্মসূচির মাধ্যমে বাজারমূল্য স্থিতিশীল রাখতে এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সহায়তা প্রদানের জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী সারা বছর জুড়ে কমমূল্যে চাল বিক্রি করা হয়।


বিজ্ঞাপন