ব্ল্যাক মার্কেটিং দূর করা হবে : রেলমন্ত্রী

অর্থনীতি জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ট্রেনের টিকিট নিয়ে যেন কোনো কালোবাজারি না হয় সেজন্য অনলাইনে টিকিট দেয়া হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারে দুর্নীতি যেমন কমবে, আমাদের সময়ও বাঁচবে। অনলাইন টিকিট ক্রয়ে ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে যাবে মানুষ। আমরা যা কিছু করছি সাধারণ যাত্রীদের জন্যই করছি। রোববার ট্রেন চলাচলের সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নিতে কমলাপুর স্টেশন পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এর আগে তিনি কমলাপুর রেলস্টেশনের ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানো ঢাকা-কিশোরগঞ্জ-ঢাকা রুটে চলাচলকারী কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে যাত্রার সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন। পাশাপাশি স্টেশনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, আমরা গত মে মাসে ১৭ জোড়া ট্রেন চালু করেছিলাম। রোববার থেকে আরও ১৩ জোড়া ট্রেন চলাচল করে। যেভাবে আমরা শুরু করেছিলাম একইভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেন পরিচালনা অব্যাহত থাকবে। তার জন্য যাত্রীসাধারণ থেকে শুরু করে সবাইকেই আমাদের সহযোগিতা করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, এই প্যানডেমিক সিচুয়েশনে খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া ভ্রমণকে আমরা সবাই নিরুৎসাহিত করছি। স্কুল-কলেজ এখনো খোলেনি। এখনো স্বাভাবিক অবস্থায় আমরা আসিনি। স্বাভাবিক অবস্থায় একটা মানুষ চারটি টিকিট কিনে অন্য কারো কাছে বিক্রি করে দেয়। তাই এক আইডি কার্ডে চারটা টিকিট করতে পারবেন না। এর উদ্দেশ্য হলো আপনার সঙ্গে যে চারজন ভ্রমণ করবে, সেটিও আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে। এভাবে ব্ল্যাক মার্কেটিং দূর করা সম্ভব হবে। তবে আমরা যে ব্যবস্থাটা করছি তা পরিবর্তনশীল। আমরা পরীক্ষা করে দেখবো কী সুবিধা-অসুবিধা হচ্ছে। যে যে অসুবিধা হবে সেগুলো দূর করবো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ে মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামানসহ রেলের কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সাময়িক বিরতি দিয়ে আজ থেকে ফের শুরু হয়েছে আরও ১৩ জোড়া ট্রেন চলাচল। রোববার (১৬ আগস্ট) সকাল থেকে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন রুটে এই ১৩ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ২৪ মার্চ থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় কিছু মালবাহী ট্রেন চলাচল অব্যাহত ছিল। গত ৩১ মে প্রথম দফায় আট জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা হয়। ৩ জুন দ্বিতীয় দফায় আরও ১১ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন বাড়ানো হয়। তবে কিছুদিন পর যাত্রী সংকটে দুই জোড়া ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এরই ধারাবাহিকতায় নতুন করে আরও ১২ জোড়া আন্তঃনগর ও এক জোড়া কমিউটার ট্রেনসহ মোট ১৩ জোড়া ট্রেন নতুন করে চলাচল শুরু করেছে গতকাল রোববার থেকে। পর্যায়ক্রমে সব রুটের যাত্রীবাহী আন্তঃনগর ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে।
এদিকে রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট আগের মতো অনলাইনে ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। যাত্রার দিনসহ পাঁচ দিন পূর্বে আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট ইস্যু করা যাবে। যাত্রীদের সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কোচের ধারণক্ষমতার শতকরা ৫০ ভাগ টিকিট বিক্রি করা হবে। আন্তঃনগর ট্রেনে সকল প্রকার স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র জানায়, বর্তমানের মোট ১৭ জোড়া ট্রেন চলাচল করছে। রোববার রেলের বহরে যুক্ত হলো আরও ১৩ জোড়া ট্রেন। সব মিলিয়ে এখন চলাচল করা ট্রেনের সংখ্যা দাঁড়াল ৩০ জোড়ায়।


বিজ্ঞাপন