কেন এই ষড়যন্ত্র

অন্যান্য রাজনীতি সারাদেশ

নিজাম উদ্দিন নিলু খান : এমন একজন নেতাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র যিনি দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত এবং তার কাছে দলের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা মসজিদ ও মন্দিরের মতো।
যিনি ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সাবেক এবং বর্তমান নেতাদের আদর্শ,তাদের প্রিয় নেতা।
আমরা বিরোধী দলে থাকতে অনেকে বিএনপি ও জামাতের সাথে আতাত করেছিলো,অনেকে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কোন দ্বায়িত্ব কখনও পালন করেন নাই,এমন নেতা তো তিনি না।তিনি এমন নেতা যিনি ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন,যুবলীগের নেতা ছিলেন,
মার্জিত এবং ভদ্র।
জননেতা নিজামউদ্দিন খান নিলু যিনি শৈশব থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে স্কুল ছাত্রলীগের কমিটিতে সভাপতি নির্বাচিত হয়ে আওয়ামীলীগের দুর্দিনে ছাত্রসমাজকে সংগঠিত করে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন।৯০এর স্বৈরাচারী সরকার বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রসমাজের নেতৃত্ব দিয়েছেন।ছাত্রলীগের সভাপতি থাকা অবস্থায় মাত্র ২৫ বছর বয়সে পৌর মেয়র নির্বাচন করেছিলেন। মাত্র ২০০ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন। নির্বাচনের পর নেত্রী তাকে জেলা যুবলীগের আহবায়ক করেছিলেন। ৯৬ এর আন্দোলনে যুবসমাজকে সংগঠিত করে ১৫ই ফেব্রুয়ারী নির্বাচন প্রতিহতো করেছিলেন।নির্বাচন পরবর্তী যুবলীগের সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ৯৯এর পৌর নির্বাচনে বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত হয়ে পৌরসভাকে মডেল পৌরসভায় রূপান্তরসহ মাত্র দুই বছর ছয় মাসে রাস্তা,ড্রেন সহ পৌরসভার ব্যপক উন্নয়ন করেছিলেন। দূর্ভাগ্যবশতঃ দুই বছর ছয় মাসের মাথার কারচুপির নির্বাচনে ২০০১ এ বিএনপি, জামাত ক্ষমতায় এসে সারাদেশের মতো প্রিয় নেতার উপর অমানবিক নির্যাতন নেমে আসে। তৎকালীন প্রভাবশালী মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম ও নড়াইলের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু তাকে কোটি টাকার প্রজেক্টের লোভ সহ এমপি করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।তিনি তা প্রত্যাখ্যান করায় তার বিরুদ্ধে ২৯টি মামলা দিয়েছিলো তৎকালীন সরকার।তখন এমন অবস্থা ছিলো আওয়ামীলীগ বললে পুলিশ এক বাড়ি দিতো আর নেতার লোক দেখলে ১০বাড়ি দিতো।যুবলীগের সভাপতি থাকার সময় কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য নির্বাচিত হন এবং জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন।যিনি কখনো প্রিয় নেত্রীর নির্দেশনার বাইরে যান নাই।২০১৫ সালে প্রিয় নেত্রী তাকে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক করেছেন।তিনি আওয়ামীলীগকে সংগঠিত করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন।তিনি তিন বার এমপি মনোনয়ন চেদুর্দিনে দু:সময়ের রাজপথে ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং আওয়ামীলীগকে সুসংগঠিত করে দলের নীতির প্রশ্নে কখনো বিএনপি-জামায়াতের কাছে আপোষ করেন নাই। যিনি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি, নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের বার বার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক, নড়াইল সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান, নড়াইল পৌরসভার সাবেক মেয়র, রাষ্ট্রনায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনার অত্যান্ত আস্থাভাজন ও স্নেহধন্য জননেতা নিজাম উদ্দিন খান নিলু ভাইয়ের বিরুদ্ধে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছেন, তারা কোনদিন আওয়ামীলীগের শুভাকাঙ্খী হতে পারে না।


বিজ্ঞাপন

মনে রাখবেন জননেতা নিজাম উদ্দিন খান নিলুর বিরুদ্ধে অপপ্রচার মানেই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার।


বিজ্ঞাপন