দেশি ও বিদেশি ব্রান্ডের শিশুদের নকল প্রসাধনী

অপরাধ আইন ও আদালত রাজধানী

৩৮ লাখ টাকা জরিমানা

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্রান্ডের নকল শিশু প্রসাধনী তৈরির অপরাধে ৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৩৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) দুপুর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত র‌্যাব-১০ ও বিএসটিআই’র সহযোগিতায় রাজধানীর চকবাজারে মৌলভীবাজার টাওয়ারে অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরিমানা করে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন র‌্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। এ অভিযানে জরিমানার পাশাপাশি দুজনকে এক বছর করে কারাদন্ড দেয়া হয়।
সারোয়ার আলম বলেন, শিশুদের ব্যবহার্য জনসন বেবি লোশন, বেবি শ্যাম্পু, জনসন পাউডার, ইউনিলিভারের পন্ডস, ফেয়ার অ্যান্ড লাভলিসহ ২৮ ধরনের নকল প্রসাধনী সামগ্রী উৎপাদন, মজুত ও বিক্রয় করা হচ্ছিল। অভিযুক্তরা এসব পণ্যের খালি বোতল চীন থেকে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আমদানি করে।
তিনি আরও বলেন, তারা নিজেদের অনুমোদনহীন কারখানায় রিফিল করে স্টিকার লাগিয়ে বাজারে আসল বিদেশি পণ্য বলে বিক্রয় করে ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করে আসছিল। এসব নকল ও নিম্নমানের প্রসাধনী ব্যবহারে শিশু এবং প্রাপ্ত বয়স্কদের মারাত্মক ধরনের স্কিন ডিজিজ/চর্মরোগ এমনকি ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগের আশঙ্কা রয়েছে।
সারোয়ার আলম বলেন, বিএসটিআই’র অনুমোদনবিহীন বিপুল পরিমাণে ভেজাল, নকল ও নি¤œমানের কসমেটিকস পণ্য মজুত ও বিক্রয়ের অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪১,৪৩ ও ৫০ ধারা অনুযায়ী ৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৩৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
ইমরান হোসেন রায়হান (২০), আব্দুল কাদের (২৫) নামের দুজনকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা ও ১ বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদ- দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। এ সময় ২টি প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ভেজাল, নকল ও নিম্নমানের প্রসাধনী জব্দ করে ধ্বংস করা হয়।


বিজ্ঞাপন