৭ দিনের রিমান্ডে এসআই আকবর

অপরাধ আইন ও আদালত সারাদেশ সিলেট

সিলেটে রায়হান হত্যা

 

সিলেট ব্যুরো: পুলিশ ফাঁড়িতে নিহত রায়হান আহমদ হত্যাকারী এসআই আকবর হোসেন ভূইয়ার ৭দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার সিলেটের চীফ মেট্রোপলিটন আদালতের বিচারক আবুল কাশেম এ রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুর ১টা ২০ মিনিটে কঠোর পুলিশি পাহারায় পিবিআই তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আওলাদ হোসেন সিলেট চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে হাজির করেন। এসময় তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে ৭দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন পিবিআই তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আওলাদ হোসেন। তিনি বলেন, আদালতে ৭দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালতের বিচারক ৭দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রায়হান হত্যার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য পিবিআই আকবরকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। সেই সাথে তার সহযোগীদের সম্পর্কে তথ্য জানতে চাইবে পিবিআই।
সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকে খাসিয়াদের সহযোগীতায় পুলিশ আকবরকে গ্রেফতার করে। সোমবার জেলা পুলিশ রাত ৭টার দিকে আকবরকে পিবিআই কাছে হস্তান্তর করেছে।
গত ১১ অক্টোবর রাতে পুলিশী নির্যাতনের শিকার হয়ে পরদিন হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন রায়হান আহমদ (৩৪)। এ ঘটনায় তার স্ত্রী তান্নি পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু আইনে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন। ১৩ অক্টোবর থেকে পালিয়েছিলেন এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত, পুলিশের বরখাস্তকৃত এসআই আকবর।
মাত্র ১০ হাজার টাকার জন্য রায়হানকে নির্যাতন করে মেরে ফেলার ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন সিলেটবাসী। শুরু হয় রাজপথে আন্দোলন। ঘটনার ২৮ দিন পর সোমবার তাকে কানাইঘাটের ডনা সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সন্ধ্যায় তাকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নিয়ে আসা হয় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে। এসময় সেখা সমবেত হাজার হাজার মানুষ তার ফাঁসির দাবি জানান।
সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন দাবি করেন, ভারতে পালিয়ে যেতে পারে এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তারা সেখানে পুলিশের একটি বিশেষ দলকে সতর্ক রেখেছিলেন। তারাই তাকে গ্রেফতার করে। তবে সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওতে দেখা ও শোনা যায় কয়েকজন খাসিয়া যুবক আকবরকে ধরা-বাঁধা করতে করতে নানা প্রশ্ন করছে। তারা তাকে রায়হান হত্যাকারী হিসাবেই চিনতে পারে এবং এ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্ন করে।
ডনা সীমান্তবাসী জানিয়েছেন, আকবরকে বেঁধে একদল যুবক তাকে বাংলাদেশে পুশব্যাক করে। এরই এক পর্যায়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। এর আগে, এই মামলায় এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস, কনস্টেটেবল হারুনুর রশীদ ও পুলিশের সোর্স সাইদুল শেখকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।


বিজ্ঞাপন