দুদকের মামলায় ২ এমপি

অপরাধ আইন ও আদালত

বাকীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : অবৈধ সম্পদ, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, বিদেশে অর্থ পাচারের মতো দুর্নীতি ছাড়াও ক্যাসিনোকা-ের সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে দুদকের অনুসন্ধানে রয়েছে বর্তমান ১০ জন এবং সাবেক ১১ জনসহ মোট ২১ জন সংসদ সদস্যের নাম। এদের মধ্যে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শহিদ ইসলাম পাপুল ও তার স্ত্রী সেলিনার নামে মামলা করলো দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার দুদক উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি করেন। মামলা সংক্রান্ত প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আইন মেনে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে দেশে ফেরত আনার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান। বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংকালে একথা বলেন তিনি। দুদক কমিশনার বলেন, যদি এই মামলায় প্রয়োজন হয়, তাহলে তাকে (পাপুলকে) কুয়েত থেকে দেশে আনা হবে। যেহেতু তিনি বিদেশের কারাগারে, তাই আন্তর্জাতিক আইন মেনে ফেরতের প্রক্রিয়া চালানো হবে। তিনি আরো বলেন, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল, তার স্ত্রী সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি কাজী সেলিনা ইসলাম, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম ও শ্যালিকা জেসমিন প্রধানের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ এবং ১৪৮ কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার শ্যালিকার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ ও মানি লন্ডারিং- এই দুই অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর বাকিদের অবৈধ সম্পদ আছে কিনা, তা জানতে নোটিশ জারি করা হয়েছে। সেটা যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে মামলা দায়ের করা হবে । তাদের আটক করা হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে মোজাম্মেল হক বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা যদি প্রয়োজন মনে করেন তাহলে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আটক করা হবে। এমপি পাপুলের বিদেশে সম্পদের ব্যাপারে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই বলেও জানান কমিশনার। এমপি রতনসহ অন্যান্য এমপিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে মোজাম্মেল হক খান বলেন, আমাদের কোনো কাজ থেমে নেই। মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী আইনের আওতায় আনতে আমরা কাজ করছি। আমরা দলমতের ঊর্ধ্বে কাজ করছি।


বিজ্ঞাপন