আজকের দেশ রিপোর্ট : চট্টগ্রাম জেলার পাঁচলাইশ থানাধীন (হাল মৌজা চান্দগাঁও) চান্দগাঁও এলাকায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গৃহ নির্মানের অভিযোগ উঠেছে একটি চক্রের বিরুদ্ধে। দলিলমূলে এবং নিষেধাজ্ঞার কপি পর্যালোচনা করে জানা যায়, (তফসিলে উক্ত সম্পত্তি) চট্টগ্রাম জেলার পাঁচলাইশ থানাধীন চান্দগাঁও মৌজার আর.এস খতিয়ানের ১৪৮২৫/১৫৩১৬ দাগ তৎসামিল বি.এস খতিয়ানে ১৫২৯৭, ১৫২৯৮, ১৫৩১১ দাগের আন্দর ১৬ শতক। আবার আর.এস ১৪৯৫০/১৫৩২২, ১৪৯৮৫ দাগাদির সামিল বি.এস ১৫৩৪১, ১৫৩৪২, ১৫৩৪০, ১৫৩৩৭ দাগের আন্দর ২৮ শতক এবং আর.এস ১৪৯৫১, ১৪৯৮৪ দাগাদির সামিল বি.এস ১৫৩৩৯, ১৫৩৩৮ দাগের ১৩ শতক। সর্বমোট জায়গার উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। মামলা নং ৪০৫/২০১৩। নিষেধাজ্ঞায় উল্লেখ করা আছে সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত দু’পক্ষের কেউই উক্ত জায়গায় গৃহ নির্মাণসহ জমির আকার-আকৃতি ও রুপ পরিবর্তণ করার চেষ্টা করিতে পারিবেনা এবং উক্ত জায়গার উপর বিজ্ঞ আদালতের স্থিতিবস্থা (status quo) দু’ পক্ষকেই বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্ত আদালতের সেই নির্দেশ অমান্য করে একটি পক্ষ (বাদী) যথাক্রমে- আবু তাহের, মোঃ আবছার, মোঃ নাছির, ভেল্লা খাতুন, রিনা আক্তার, সামসুল আলম, মরিয়ম বেগম এবং ইকবাল হোসেন প্রমূখগন উক্ত জায়গায় জোরযবস্থ গৃহ নির্মাণ করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অপর পক্ষ (বিবাদী) ছিদ্দিক আহমদ আইনী সহায়তা পাওয়ার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আরোপ করছেন। সূত্রমতে, বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য চান্দগাঁও থানাকে অবগত করা হয়। চান্দগাঁও থানাকে অবগত করার পরও বাদী পক্ষ (আবু তাহের)গন জোরপূর্ব উক্ত জায়গায় কাজ করে যান। চান্দগাঁও থানার এস.আই অধীর চৌধুরীর দেয়া নোটিশ মোতাবেক (দু’পক্ষ) কে আগামী ৯ ফেব্রæয়ারী ২০২১ ইং পর্যন্ত উক্ত জায়গার কাজকর্ম থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু সেই নোটিশের তোয়াক্কা না করে বাদীপক্ষ আবু তাহেরগন তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে বিবাদী ছিদ্দিক আহমেদ জানান, উক্ত জায়গায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে কাজ না করার। কিন্তু আবু তাহেরগন তারা মহামান্য আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে বৃধাঙ্গুলী দেখিয়ে তাদের গায়ের জোড়ে উক্ত জায়গায় কাজ করে যাচ্ছেন। আমি আইনী সহায়তা চাই।