পদ্মা সেতুতে বসতে যাচ্ছে আরেকটি স্প্যান

এইমাত্র জাতীয়

মুন্সীগন্জ প্রতিনিধি: আজ মঙ্গলবার জাজিরা প্রান্তে বসানো হবে একাদশতম স্প্যানটি। ১৫০ মিটার দৈঘ্যের এই স্প্যান ভাসমান ক্রেন দিয়ে বসানো হবে। এটি বসানো হলে দৃশ্যমান হবে ১৬৫০ মিটারের পদ্মা সেতু।


বিজ্ঞাপন

নতুন করে আরও একটি স্প্যান বসানো হলে জাজিরা প্রান্তে মোট স্প্যানের সংখ্যা হবে নয়টি।

সেতু কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়, একাদশতম স্প্যানটি জাজিরা প্রান্তে বসানো হবে। এই স্প্যান মিলে জাজিরা প্রাপ্তে একসঙ্গে দৃশ্যমান হবে পদ্মাসেতুর ১৩৫০ মিটার।

চলতি মাসের ১০ তারিখ মাওয়া প্রান্তে বসানো হয় দশম স্প্যান। এর আগে মাওয়া প্রান্তে বসানো হয়েছিল আরও একটি স্প্যান। নতুন স্প্যানটি বসানোর জন্য প্রস্তুত জাজিরা প্রান্ত।

দ্বিতল পদ্মা সেতু হচ্ছে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরার মধ্যে। মূল সেতুর দৈর্ঘ্য (পানির অংশের) ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার।

ডাঙার অংশ ধরলে সেতুটি প্রায় নয় কিলোমিটার দীর্ঘ হবে। খুঁটির ওপর ইস্পাতের যে স্প্যান বসানো হবে, এর ভেতর দিয়ে চলবে ট্রেন। আর ওপর দিয়ে চলবে যানবাহন। পুরো সেতুতে মোট পিলারের সংখ্যা ৪২।

প্রতিটি পিলারের রাখা হয়েছিল ছয়টি পাইল। একটি থেকে আরেকটি পিলারের দূরত্ব ১৫০ মিটার। এই দূরত্বের লম্বা ইস্পাতের কাঠামো বা স্প্যান জোড়া দিয়েই সেতু নির্মিত হবে। ৪২টি খুঁটির ওপর এ রকম ৪১টি স্প্যান বসানো হবে। এর মধ্যে ১০টি স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হয়েছে।

২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর এই জাজিরা প্রান্ত দিয়েই শুরু হয় পদ্মা সেতুর স্প্যান বসানোর কাজ। ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। পরে এই প্রান্তে বসানো হয় আরও সাতটি স্প্যান। মাঝে মাওয়া প্রান্তে একটি স্প্যানকে সাময়িক এবং একটি স্প্যানকে স্থায়ীভাবে বসানোর পর কাজ আবার ফিরে আসে জাজিরায়।

৩৪ নম্বর পিলারের ওপর আগেই স্প্যান বসানো আছে। তার সাথে ৩৩ নম্বর পিলারের সঙ্গে জোড়া লাগিয়ে বসানো হবে একাদশ স্প্যান। প্রস্তুত করে তোলা হয়েছে তাই পিলারটি। আনুষঙ্গিক সব আয়োজন সম্পন্ন করে ফেলেছেন প্রকৌশলীরা।

তবে হঠাৎ আসা কালবৈশাখী ঝড় এবং স্প্যানবাহী ক্রেন চলাচলে নদীতে নাব্য সঙ্কট তৈরি হওয়ায় জাজিরা প্রান্তে সব শেষ স্প্যানটি বসাতে দুই দিন সময় লেগেছিল। বিষয়টি মাথায় রেখেই প্রস্তুত সেতু কর্তৃপক্ষ।

পদ্মাসেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের টার্গেট কালকে। কিন্তু কালকে নাও হতে পারে। অনেক খুঁটিনাটি বিষয় আছে। যতই সময় যাচ্ছে মানুষ আশাবাদী হচ্ছে এটাই আমাদের পাওয়া। মানুষ আগে যে বিশ্বাস পাচ্ছিল না, সেটা এখন পাচ্ছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *