নিজস্ব প্রতিনিধি : ১৯৭১ এর ৭ মার্চের পর থেকে ঘরে ঘরে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু হয়। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত হয়ে পড়ে জামায়াতসহ ধর্মভিত্তিক সংগঠনগুলো। ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করার পরপরই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানে মুখোমুখি যুদ্ধ শুরু করে মুক্তিযোদ্ধারা। শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবাই যখন নিজেদের জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতার যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়তে ব্যস্ত, তখনও ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করতে মাঠে নেমেছে রাজনৈতিক ইসলামের তথাকথিত পীর-মাওলানার।
১৯৭১ সালের ১৬ এপ্রিল, শুক্রবার, জুমার নামাজের পর পাঞ্জাবি-টুপি পরে শান্তি কমিটির ব্যানারে পাকিস্তানের পক্ষে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে রাজপথে মিছিল বের করেছিল এই উগ্রবাদী ধর্মব্যবসায়ীরা। ধর্মীয় আবেগ ব্যবহারের নিখুঁত পরিকল্পনায় অংশ হিসেবে তারা বেছে নিয়েছিল মুসলিমদের ধর্মীয় ছুটির দিন শুক্রবারকে। মিছিল শুরুর স্থান হিসেবে নির্ধারণ করেছিল বৃহত্তর মসজিত বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটকে। সময়টাও ছিল ঠিক নামাজের পর। এরপর ইসলাম রক্ষার ছদ্মবেশে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিতে চেয়েছিল এই স্বাধীনতাবিরোধীরা।
ধর্মব্যবসায়ীদের সব অপচেষ্টা ব্যর্থ করে বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। তবে এদের ধর্মব্যবসা থামেনি। এরা এখনও ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে মানুষকে প্রতারিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।