নিজস্ব প্রতিনিধি : বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনায় নির্মিতব্য বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক চলচ্চিত্রটি আমাদের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করবে এবং ঐতিহাসিক দলিল হয়ে থাকবে, বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এ চলচ্চিত্রের জন্য নির্বাচিত শিল্পী ও কুশলীদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. গওহর রিজভী বলেন, “আমি অত্যন্ত খুশী অবশেষে এই ছবি অফিসিয়ালি শুরু হচ্ছে, এমন ছবি এদেশে অতীতে হয় নি”
তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা: মুরাদ হাসান, তথ্যসচিব খাজা মিয়া ও তথ্য কমিশনার আবদুল মালেক এসময় উপস্থিত ছিলেন।
ড. হাছান মাহমুদ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ডঃ গহর রিজভী এসময় ‘বঙ্গবন্ধু’ চলচ্চিত্রের শিল্পী ও কুশলীদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান ও তাদের অংশগ্রহণের সর্বোচ্চ সাফল্য কামনা করে বলেন, তথ্য মন্ত্রণালয় সবসময় তাদের সাথে রয়েছে। ঠিক এক বছর আগে ২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি ভারতের নয়াদিল্লিতে তার ও ভারতের তথ্যমন্ত্রী প্রকাশ জাভাদকারের উপস্থিতিতে দু’দেশের চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের মধ্যে এই চলচ্চিত্রটি যৌথভাবে নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষরের কথাও স্মরণ করেন তথ্যমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী ডা: মুরাদ হাসান এবং উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী তাদের বক্তব্যে এ চলচ্চিত্রকে দেশের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসেবে বর্ণনা করেন।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন- বিএফডিসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন ও চলচ্চিত্রটিতে শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হকের চরিত্র রূপায়ণকারী শহীদুল আলম সাচ্চুর উপস্থাপনায় শিল্পী ও কুশলীদের প্রাণবন্ত অনুভূতি প্রকাশে অনুষ্ঠানটি একটি ঘরোয়া আসরে পরিণত হয়।
বঙ্গবন্ধুর পিতার চরিত্র চিত্রণকারীদ্বয় চঞ্চল চৌধুরী (৪৫-৬৫) ও খায়রুল আলম সবুজ (৬৫-৯৪), বঙ্গবন্ধুর মাতার চরিত্রে অভিনয়কারীদ্বয় সংগীতা চৌধুরী (৩৩-৫৫) ও দিলারা জামান (৬০-৭৪), বঙ্গবন্ধু ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের কৈশোর চরিত্রের অভিনয়শিল্পী যথাক্রমে দিব্য জ্যোতি ও প্রার্থনা ফারদিন দিঘী, শেখ জামাল ও শেখ রেহানার কৈশোর চরিত্রের শরীফ সিরাজ ও সাবিলা নূর, মওলানা ভাসানী ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর চরিত্রের রাইসুল ইসলাম আসাদ ও তৌকীর আহমেদ তাদের অনুভূতি জানান।
তাজউদ্দীন আহমেদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামান চারনেতার চরিত্রচিত্রণকারী যথাক্রমে ফেরদৌস, সায়েম সামাদ, খলিলুর রহমান ও সমু চৌধুরী, তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া ও তোফায়েল আহমেদের চরিত্রের তু্ষার খান ও সাব্বির আহমেদ, শেখ ফজলুল হক মণি ও অলি আহাদের চরিত্রের মোস্তাফিজুর নূর ইমরান ও সাদমান প্রত্যয়, রমা, মাঝি ও শামসুল হকের চরিত্রের যথাক্রমে শাইখ খান, নরেশ ভুঁইয়া ও সিয়াম আহমেদ এবং খন্দকার মোশতাকের চরিত্র রূপায়ণকারী ফজলুর রহমান বাবু এ আসরে তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জাহানারা পারভীন, উপসচিব সাইফুল ইসলাম, মন্ত্রীর দপ্তরের পরিচালক-জনসংযোগ মীর আকরাম ইউ আহম্মদ, ‘বঙ্গবন্ধু’ চলচিত্রের বাংলাদেশ অংশের লাইন প্রডিউসার মোহাম্মদ হোসেন জেমী, সহকারী পরিচালক ও ভাষা বিশেষজ্ঞ বাহার উদ্দিন খেলন, অপর দুই সহকারী পরিচালক আরিফ সিদ্দিক, অর্ণব, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির সাবেক সদস্য মোঃ রাশেদুল ইসলাম রাসেল, সাবেক ছাত্রনেতা গিয়াস, ইমু, কায়সার, জুবায়েরসহ প্রমুখ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।