নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর : যশোরের অভয়নগর উপজেলা প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম সরদার ও সার্ভেয়ার গৌতমকে ঘুষ না দেওয়ার অপরাধে এক ঠিকাদারকে মারপিট করা হয়েছে। এই ঘটানর প্রতিবাদে প্রকৌশলী ও সার্ভেয়ারের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে যশোর-খুলনা মহাসড়কের নওয়াপাড়া শংকরপাশা স্কুলের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এক ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা ঠিকাদার সমিতির আহবায়ক ইমদাদুল হক ইমু, যুগ্ম-আহবায়ক ফারুক হোসেন, আসলাম হোসেন বিশ্বাস, মতিয়ার রহমান গাজী, সদস্য অলিয়ার রহমান গাজী, মনিরুজ্জামান মান, মনির, রওশন উজ্জামান টিটো, তালিম হোসেন, রাসেদুল হক রাসু, আনোয়ার হোসেন মোল্যা, আসলাম হোসেন খান, মোস্তফা কামাল, তরফদার এনামুল হাসান পলাশ, গোলাম জহিরুল হক লিখন, নাজমুল হাসান সহ প্রমূখ।
মানববন্ধনে বক্তারা প্রকৌশলী ও সার্ভেয়ারের ঘুষ নেওয়ার প্রতিবাদে বলেন, মেসর্সি শরিফুল ইসলাম নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ১ কোটি ২০ লাখ টাকার একটি সড়ক নির্মাণের কাজ পায়। যে কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। গত ১৩.০১.২০২১ ইংরেজি তারিখে ঠিকাদার রেজাউল ইসলাম সোহাগ উপজেলা প্রকৌশলী অফিসে ঐ কাজের বিল আনতে যায়। এ সময় প্রকৌশলী অফিসের সার্ভয়ার গৌতম ঐ কাজের প্রাক্কলিত ব্যায়ের পাঁচ শতাংশ টাকা ঘুষ দাবী করেন।
বক্তারা আরও বলেন, ঘুষের টাকা দিতে না চাইলে প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম সরদার এর নির্দেশে ক্ষিপ্ত হয়ে গৌতম সহ অন্যান্য কর্মচারীরা চেয়ার দিয়ে ঠিকাদার সোহাগকে পিটিয়ে আহত করে। ঘটনাটি জানাজানি হলে ঠিকাদার সমিতির নেতারা আহত সোহাগকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্য্রে ভর্তি করেন। তারা এই ঘুষখোর দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এলজিইডি’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। উল্লেখ্য, গত কিছু দিন আগে এই এলজিইডি’র অভয়নগর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের পিয়ন জাহিদুল নামের এক ব্যাক্তি ৮ বছরের একটি প্রথম শ্রেণীতে পড়–য়া শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টায় পুলিশ তাকে আটক করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। এই ঘটনার জন্যেও এই কর্মকর্তাকে দায়ী করেন মানববন্ধনে উপস্থিত বক্তারা।
এই বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম সরদার এর ব্যবহারিত (০১৭১২০২৩৮৮৯) মুঠোফোন নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেন নি। এজন্যে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নি।