নিজস্ব প্রতিবেদক : চুড়িহাট্টা অগ্নিকা-ের দুই বছরেও চার্জশিট দিতে পারেনি পুলিশ। অন্যদিকে আশ্বাসেই কেটে গেছে দুই বছর, পুনর্বাসনের কোনো সহযোগিতা পৌঁছায়নি মৃতদের পরিবারের কাছে। একদিকে বিচারের স্থবিরতা অন্যদিকে আসামিদের গ্রেফতার না হওয়ায় আরো বেশি ক্ষতের কারণ ভুক্তভোগীদের।
ওয়াহিদ ম্যানশনের দেয়ালে নতুন পলেস্তার বসলেও জীবনের ক্ষত থেকে গেছে আগের মতোই। স্বজনের শূন্যস্থানও পূর্ণ হয়নি কোনো ধুলার আস্তরে। জরিনা তার ভাইদের শেষ নিঃশ্বাসের শব্দ শুনতে আসেন এখানে।
ওয়াহীদ মেনশনের দেয়ালে টানানো পোস্টারে স্বামীর নাম খোঁজেন ফাতেমা আক্তার, বৃদ্ধ পিতা লাঠির ভর দিয়ে আসেন হারানো পরম নির্ভরতার কাঁধগুলো খুঁজতে। এখনো প্রশ্ন, আগুনে পোড়া জীবনের দাম মাত্র ২০হাজার টাকা? রয়েছে ক্ষোভও।
বয়োবৃদ্ধ আনিসুর রহমান বলেন, জঙ্গলে যেমন মানুষ ও পশু একসঙ্গে বাস করতে পারে না। ঠিক তেমনই মানুষ ও কেমিক্যাল একসঙ্গে বাস করতে পারে না।
আরেকজন জানান, এখানকার ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করা হোক। কেননা কেউ স্বামী, ভাই, বোন, বাবা ও মা হারিয়েছেন।
চকবাজারের চুড়িহাট্টার আগুন কেড়ে নিয়েছিল ৭১ জনের জীবন। দু’বছর পরও মামলার পুলিশের চার্জশিট এখনো অদৃশ্য।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি আবদুল্লাহ আবু বলেন এ মামলা এখনো তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তের কাজ এখনো শেষ হয়নি।
ফায়ার সার্ভিসের সাবেক ডিজি ব্রি. জে. (অব.) আলী আহমেদ খান বলেন, বিচারের এই দীর্ঘসূত্রিতা জননিরাপত্তার জন্য হুমকি। দুর্ঘটনার পর প্রকৃত অপরাধীদের বিচার না হলে জনমানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে না।
এদিকে ভবনটি ব্যবহার উপযোগী হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করেই ছাড়পত্র দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। নিমতলির পর চুড়িহাট্টা। অগ্নিকা-ের পর প্রশাসনের তৎপরতা দেখা গেলেও কয়েক দিন পর তা স্থবির হয়ে পড়ে। তাই কেমিক্যাল ও দাহ্য পদার্থ সরাতে নিয়মিত পরিদর্শন প্রয়োজন বলছেন স্থানীয়রা।