মুখ থুবড়ে পড়ছে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান

জাতীয় অর্থনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : মৌসুমের শেষ সময়ে হাটে বাজারে কমেছে আমন ধানের সরবরাহ। প্রান্তিক কৃষকদের কাছে ধান নেই। বাজারে এখন বিক্রির জন্য বড় বড় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা ধান নিয়ে আসছেন। চিকন সুগন্ধী ধানের দাম কমে গেলেও মোটা ধান বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। অতিবৃষ্টি, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফলন কম হওয়ার কথা বলেছেন কৃষকরা। এদিকে মুখ থুবড়ে পড়েছে ধান চাল সংগ্রহ অভিযান।
জেলায় এবার আমন ধান ৭ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয়েছে। এই মৌসুমে মোটা ধানের চেয়ে চিকন ধানের আবাদ বেশি হয়েছে। মৌসুমের শুরুতে ধানের বাজার চড়া থাকলেও মাঝখানে ধানের দাম থেকে বঞ্চিত হয়েছেন কৃষক। সদর উপজেলা গোপালগঞ্জ হাটে সকাল থেকে বিভিন্ন যানবাহনে কৃষক ধান নিয়ে আসলে চিকন ধান প্রতি বস্তায় ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কমে বিক্রি করতে হয়েছে। তবে মোটা হাইব্রিড ২৮-২৯, বিনা-৭,স্বর্ণ, গুটি স্বর্ণ, সুমন স্বর্ণ প্রতি বস্তা বিক্রি হয়েছে ২২শ’ থেকে ২৩শ’ টাকায়।
কৃষকরা জানান, চিকন ধান ৩৩ টাকায় বিক্রি করে তাদের লোকসান হচ্ছে।
এদিকে ক্রেতারা বলছেন, ধানের সরবরাহ কম থাকায় মোটা ধান বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।
সরকারের ঘোষিত কৃষি প্রণোদনা এখনও এ অঞ্চলের কৃষকরা পাননি দাবি করে বাংলাদেশ কৃষক সমিতির দিনাজপুর জেলা কমিটির সভাপতি বদিউজ্জামান বাদল বলেন, প্রধানমন্ত্রী ৫ হাজার টাকার কৃষি ঋণ বা প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন ২ শতাংশ সুদে। এখনও পর্যন্ত দিনাজপুরের ব্যাপকসংখ্যক কৃষক এই ঋণ থেকে বঞ্চিত।
কৃষকরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে জন্য জেলা খাদ্য বিভাগ হাটবাজারে মনিটরিং অব্যাহত রেখেছেন।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, সরকার এবার আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাজারে যাতে উচ্চমূল্য নির্ধারিত না হয় এবং বাজার বর্তমানে স্থীতিশীল আছে। তথাপি আমরা খাদ্য বিভাগের পক্ষ থেকে প্রধান প্রধান হাটগুলো আমরা নিয়মিত মনিটরিং করছি।
দিনাজপুরে এবার সংগ্রহ চাল ৭৪ হাজার ৯১ মেট্রিক টন এবং ধান ১১ হাজার ৯২৭ মেট্রিক টন ক্রয়ের কথা থাকলেও। মাত্র ১০ শতাংশ ক্রয় করা সম্ভব হয়েছে।


বিজ্ঞাপন