নিজস্ব প্রতিবেদক : ছোট্ট একটি বাসায় ঘণ্টায় তৈরি হয় কয়েক হাজার পিস রঙ ফর্সাকারী ক্রিম। তিব্বত, নোভা, ফেয়ার অ্যান্ড লাভলির আদলে নিধি অ্যান্ড লাভলি, এমনকি ভারতের বহু নামিদামি রঙ ফর্সাকারী ব্র্যান্ডের নকল ক্রিম তৈরি হতো এখানে।
পুরান ঢাকার রহমতগঞ্জে হাজী বাল্লু রোডে ‘নিধি কসমেটিকস’ নামে এমন একটি কারখানার সন্ধান মিলেছে। সোমবার সেখানে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল প্রসাধনী জব্দ করা হয়েছে। রাজধানীর চকবাজারসহ সারাদেশে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নকল কসমেটিকম সরবরাহ করতো এই প্রতিষ্ঠান।
সোমবার দুপুরে যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) ও র্যাব-৩। অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত কারখানাটির দুই কর্মকর্তাকে দুই মাসের জেল, ৬ লাখ টাকা জরিমানা ও প্রায় ত্রিশ লাখ টাকার মালামাল জব্দ করা হয়। তবে প্রতিষ্ঠানটির মালিক মোহাম্মদ নাসিম পালিয়ে গেছেন।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তারা চকবাজার থেকে শুরু করে সারাদেশে সব কসমেটিকস বিক্রি করতো। তবে আমরা এর মালিককে গ্রেফতার করতে পারিনি। খবর পেয়ে আগেই পালিয়ে গেছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, তিন-চার বছর ধরে তারা এখানে এ কার্যক্রম চালাচ্ছে। তাদের বিএসটিআই নেই, তাদের কোনো প্রসাধনী আসল নয়। তাদের ল্যাব নেই, কেমিস্ট নেই।
বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বলেন, তারা প্রচুর কেমিক্যাল ব্যবহার করছে, যা অত্যন্ত মারাত্মক। তারা মারকারি দিয়ে ক্রিম বানায়। এতে রঙ সাময়িকভাবে ফর্সা হলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন চর্মরোগ, এমনকি ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।
এ সময় সেখানে প্রচুর নকল প্রসাধনী, প্রসাধনী বানানোর যন্ত্র, কেমিক্যাল জব্দ করে র্যাব। পাশাপাশি ৩১/৬/২ বাসাটির দ্বিতীয় তালায় কারখানাটি সিলগালা করা হয়েছে।