নিজস্ব প্রতিবেদক : বামপন্থিরা এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সূত্রপাতে অগ্রগামী ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি এবং সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন।
সোমবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে সেমিনার হলে ‘স্বাধীন জনগণতান্ত্রিক পূর্ব বাংলার ঘোষণা’ দিবসের ৫১ বছর পূর্তিতে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
বিকেল ৪টার দিকে ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়।
রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘স্বাধীনতা আন্দোলনে জাতীয়তাবাদী শক্তির সঙ্গে এদেশের বামপন্থিরাও কেবল গুরত্বপূর্ণ অবদানই রাখেননি, অনেক ক্ষেত্রে অগ্রগামী ভূমিকাও পালন করেছেন। স্বাধীনতা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত হয়েছিলেন। কিন্তু সেই মুক্তিযুদ্ধের ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে বামপন্থিরাই আগুয়ান ভূমিকা পালন করেছিলেন। সেই সময় সামরিক শাসনের মধ্যেই ১৯৭০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি স্বাধীন জনগণতান্ত্রিক পূর্ববাংলার প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়েছিলেন বামপন্থিরা। ওই সমাবেশের বক্তাদের সাত বছর ও এক বছরের সশ্রম কারাদ-াদেশ দেওয়া হয়েছিল। ’
তিনি বলেন, ‘কেবল তাই নয়, তারও আগে থেকেই মওলানা ভাসানী ও বামপন্থিরা এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সূত্রপাতে অগ্রগামী ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধেও বামপন্থিরা অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য হচ্ছে এখন ইতিহাসের বামপন্থিদের কেবল অস্বীকার নয়, অনেক ক্ষেত্রে অসত্য তথ্য তুলে ধরা হচ্ছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে মওলানা ভাসানী ও বামপন্থিদের অবদানের স্বীকৃতি দিয়ে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার মধ্য দিয়েই সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উদযাপন স্বার্থক হয়ে উঠবে। আগামী প্রজন্ম জানবে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস। ’
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবং সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুল হাসান মানিকের সঞ্চালনায় আলোচনা করেন ভারতের কমিউনিস্ট পাটির (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় সদস্য গৌতম দাস।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রাবন্ধিক ও গবেষক সামসুল হুদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগরের সভাপতি আবুল হোসাইন প্রমুখ।