চলচ্চিত্রকার আলমগীর কুমকুমের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

জাতীয়

নিজস্ব প্রতিনিধি : শনিবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, প্রয়াত আলমগীর কুমকুমের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সকালে বনানী কবরস্থানে পুস্পমাল্য অর্পণ, আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিল, তবারক বিতরণ ও মানবভোজের আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটি।


বিজ্ঞাপন

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সিনিয়র সহ সভাপতি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কন্ঠশিল্পী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন সংগঠনের সহ সভাপতি শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম, চিত্রনায়ক সাকিল খান, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র অরুন সরকার রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রয়াত আলমগীর কুমকুমের ছেলে রনি কুমকুম, সাংবাদিক সুজন হালদার, জয়দেব রায়, কন্ঠশিল্পী করিম খান, আদিত্য রতন সরকার, মো. শিবলী, নূর মোহাম্মদ, মো. মায়া, মো. অপুসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

এফডিসিতে সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি, জোটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা চিত্রনায়ক আলমগীরের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল, মানবভোজ, মিলাদ ২৫০প্যাকেট বিরিয়ানি বিতরণ করা হয়। সংগঠনেরবঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকারী সভাপতি জোটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা চিত্রনায়ক আলমগীর, সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজারসহ চলচ্চিত্র অঙ্গণের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা উক্ত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, আলমগীর কুমকুম জাতির দুঃসময়ে, দুর্দিনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বাস্তবায়ন করার জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করে গেছেন। আলমগীর কুমকুম ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের এবং আওয়ামী লীগের প্রকৃত সৈনিক। তিনি কোন লোভ-লালসার কাছে বিক্রি হননি। আলমগীর কুমকুমের অবদান জাতি কখনো শোধ করতে পারবে না। ছাত্র রাজনীতি থেকে সাংস্কৃতিক অঙ্গণ ও রাজনৈতিক অঙ্গণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। বক্তারা আলমগীর কুমকুমকে স্বাধীনতা পদক ও একুশে পদক প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবী জানান। বক্তারা বলেন, সুসময়ে অনেকেই আছেন দুঃসময়ে তাদের খুঁজেও পাওয়া যায়নি। ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন হওয়া দরকার। আলমগীর কুমকুম দেশের বুদ্ধিজীবী, শিল্পী, সাহিত্যিক, সংস্কৃতিকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার, জাতীয় চারনেতা হত্যার বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি ছিলেন জননেত্রী শেখ হাসিনার আদর্শের প্রকৃত কর্মী। তিনি ভোগে বিশ্বাসী ছিলেন না। তিনি ছিলেন ত্যাগে বিশ্বাসী।

তাছাড়াও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, চট্টগ্রাম জেলা শাখা, চাঁদপুর জেলা শাখা, খুলনা জেলা শাখা, ময়মনসিংহ জেলা শাখা, সিরাজদিখান শাখাসহ বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের বিভিন্ন শাখা আলমগীর কুমকুমের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেছে।