৩,৬০,০০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার

অপরাধ

নিজস্ব প্রতিনিধি : বুধবার রাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর টেকনাফ ব্যাটালিয়ন(২ বিজিবি) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, অধীনস্থ নাজিরপাড়া বেড়ীবাঁধ সংলগ্ন এলাকা দিয়ে ইয়াবার একটি বড় চালান মিয়ানমার হতে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ টেকনাফ বিওপি’র একটি বিশেষ টহলদল বর্ণিত এলাকায় দ্রুত গমন করে নাজিরপাড়া বেড়ীবাঁধ সংলগ্ন আলুগোল্লা নামক এলাকায় নাফ নদীতে অবস্থান গ্রহণ করে। আনুমানিক ০১৫০ ঘটিকায় টহলদল দূর হতে ০৫ জন ব্যক্তিকে নৌকা যোগে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেখে। বর্ণিত ব্যক্তিরা দূর হতে টহলদলের উপস্থিতি লক্ষ্য করা মাত্রই পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। উক্ত সময়ে বিজিবি’র টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে সশস্ত্র ইয়াবা পাচারকারীরা অতর্কিতভাবে গুলি বর্ষণ করতে থাকে। ফলে ০২ (দুই) জন বিজিবি সদস্য আহত হয়। এ সময় বিজিবি’র টহলদলটি সরকারী সম্পদ এবং নিজেদের জান ও মাল রক্ষার স্বার্থে কৌশলগত অবস্থান নিয়ে পাল্টা গুলি বর্ষণ করে। উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় ০৪-০৫ মিনিট গুলি বিনিময় হয়। এই সময়ে ০৩ জন ইয়াবা কারবারী নদীতে লাফ দিয়ে নেমে সাঁতরিয়ে মিয়ানমারের দিকে পালিয়ে যায় এবং অপর ০২ জন ব্যক্তি নৌকাটিকে নিয়ে গুলি করতে করতে নাফ নদীর বাংলাদেশের তীরবর্তী কেওড়া জঙ্গলের আঁড় ব্যবহার করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে গোলাগুলির শব্দ থামার পর টহলদলের সদস্যরা কেওড়া জঙ্গল হতে ০২ (দুই) জন ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে। গুরুতর আহত ব্যক্তিদের দ্রুত টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। উল্লেখ্য, বর্ণিত এলাকাটি তল্লাশী করে ১০,৮০,০০,০০০/- (দশ কোটি আশি লক্ষ) টাকা মূল্যমানের ৩,৬০,০০০ (তিন লক্ষ ষাট হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিদের নিকট থেকে ০১ (এক) টি দেশীয় তৈরী অস্ত্র এবং ০১টি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করা হয়। উল্লেখ থাকে যে, নিহতদের সঙ্গীয় ইয়াবা কারবারীরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের সম্পর্কে কোন ধরণের তথ্য উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আহত ব্যক্তিদের আনুমানিক বয়স যথাক্রমে ১৯-২০ এবং ৩৫-৪০ বছর। তবে তাদের নাম ঠিকানা সম্পর্কে অদ্যাবধি কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।


বিজ্ঞাপন

উক্ত ঘটনায় আহত বিজিবি সদস্যদের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। সরকারী কর্তব্যে বাঁধা প্রদান এবং অবৈধ মাদক পাচারের দায়ে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।