দুদক এনফোর্সমেন্ট টিমের অভিযান

অপরাধ আইন ও আদালত

নিজস্ব প্রতিনিধি : গাজীপুর জেলার শ্রীপুর ফরেস্ট রেঞ্জের শিমলাপাড়া বিট কর্মকর্তা মো: আব্দুল হাই ও বন প্রহরী মো: তোফাজ্জ্বল হোসেন-এর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বনাঞ্চলের মাটি বিক্রয় করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক, সজেকা, ঢাকা-২-এর সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম-এর নেতৃত্বে আজ (১৫-০৩-২০২১ খ্রি.) একটি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা উদঘাটনের লক্ষ্যে দুদক টিম সরজমিনে উক্ত স্থান পরিদর্শনপূর্বক প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ, কাগজপত্র পরীক্ষা ও তথ্যানুসন্ধান করেছে। এক্ষেত্রে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা উপাদান পাওয়া গিয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত আরও তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ উপায়ে যথাপোযুক্ত বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আরও কোন অনিয়ম সংঘটিত হয়েছে কিনা এবং এর সাথে আর কারা জড়িত তা উদঘাটনের জন্য সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র ও তথ্য প্রমাণসমূহ পরীক্ষা করে কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে দুদক টিম।


বিজ্ঞাপন

নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভুয়া প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে সরকারি বই ও ভাতা উত্তোলনপূর্বক আত্মসাতের অভিযোগে প্রক্ষিতে দুদকের সজেকা, ময়মনসিংহ হতে অপর একটি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। সরজমিনে উক্ত স্থান পরিদর্শনপূর্বক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ ও সংশ্লিষ্টদের সাথে বিস্তারিত আলোচনাপূর্বক তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করেছে দুদক টিম। পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে দুদক টিমের কাছে অভিযোগটি প্রাথমিকভাবে সত্য বলে প্রতীয়মান হয়েছে। এ ক্ষেত্রে অনিয়মসমূহ বিস্তারিত পর্যালোচনা করে কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে দুদক টিম।


বিজ্ঞাপন

এছাড়া, প্রধান সহকারীর বিরুদ্ধে পে-অর্ডার জালিয়াতির মাধ্যমে প্রকৃত আবেদনকারীকে বাদ দিয়ে অন্য আবেদনকারীকে প্লট বরাদ্দের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অফিস সহায়কের পেনশন, গ্রাচ্যুইটি ও লামগ্রান্ট-এর অর্থ প্রদানে হয়রানি, ব্যাংকের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ব্যাংক হিসাব তৈরিপূর্বক লেনদেন করা, তহশিলদারের বিরুদ্ধে জমির নামজারি বাবদ ঘুষ দাবি, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ছড়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ফসলী জমির মাটি কেটে ইট ভাটায় ব্যবহার, এনজিও পরিচালক ও স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সরকারি খাস জমি দখল, এবং ব্ৰহ্মপুত্র নদ থেকে বালু উত্তোলন করে রাস্তা নির্মাণ, অবৈধভাবে কৃষি জমিতে ইটভাটা তৈরি করে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করা এবং ইউপি ওয়ার্ড মেম্বারের বিরুদ্ধে সরকারি খাস জমি দখল করার অভিযোগের প্রক্ষিতে চেয়ারম্যান, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ; মহাপরিচালক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর; ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক; জেলা প্রশাসক, ঢাকা-গাজীপুর-কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট-কে বিষয়সমূহ অবহিত করে যথাপোযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিশনের এনফোর্সমেন্ট ইউনিট থেকে পত্র ও তাগিদপত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
ঢাকায় অবস্থিত হিসাব ভবনের ট্রেজারি অফিসের এ্যাকাউন্টস অফিসার ও জুনিয়র অডিটরের বিরুদ্ধে সেবা প্রার্থীর পেনশনের টাকা প্রদানে ঘুষ দাবীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক, সজেকা, ঢাকা-১-এর সহকারী পরিচালক মোঃ আমির হোসেন-এর নেতৃত্বে গতকাল (১৪-০৩-২০২১ খ্রি.) এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা উদঘাটনের লক্ষ্যে দুদক টিম সরজমিনে উক্ত অফিস পরিদর্শনপূর্বক প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ, কাগজপত্র পরীক্ষা ও তথ্যানুসন্ধান করেছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত আরও তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের এ ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে এবং দুর্নীতি প্রতিরোধের মাধ্যমে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোন অনিয়ম সংঘটিত হয়েছে কিনা এ বিষয়ে অধিকতর নিশ্চিত হওয়ার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র ও তথ্য প্রমাণসমূহ পরীক্ষা করে কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে দুদক টিম।

এছাড়া, নিরাপত্তা কর্মীদের বিরুদ্ধে ট্রাক ও কভার্ডভ্যান চালকদের নিকট হতে বন্দরের গেটপাশে ঘুষ গ্রহণ, কম্পিউটার অপারেটরের বিরুদ্ধে চাকরি পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ নেওয়া, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে ঘুষ আদায়, জেলা রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে গ্রাহকের দলিল রেজিস্ট্রি বাবদ ঘুষ আদায়, মজিবুর রহমান নামীয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্যাস অফিসের কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজশে অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহার, ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ঘুষের বিনিময় অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দেওয়া, অবৈধভাবে পরিচালিত ইট ভাটার কার্যক্রম বন্ধ করার ক্ষেত্রে দায়িত্বে অবহেলা এবং প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে চাকরি নেয়ার অভিযোগে প্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ; মহাপরিচালক, সমবায় অধিদপ্তর; মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর; মহাপরিদর্শক, নিবন্ধন অধিদপ্তর; ব্যবস্থাপনা পরিচালক, তিতাস গ্যাস; জেলা প্রশাসক, খুলনা ও মাদারীপুর-কে উক্ত বিষয়সমূহ অবহিত করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে কমিশনের এনফোর্সমেন্ট ইউনিট থেকে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।