নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২১ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মো. গনি মিয়া বাবুলের নেতৃত্বে বুধবার দুপুরে ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ, শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে ‘বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তা প্রতিনিয়ত বাড়ছে’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মো. গনি মিয়া বাবুল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম শামসুন নাহার ভূইয়া এমপি। আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল, বাংলাদেশ আওয়ামী যুব লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মানিক লাল ঘোষ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট মো. রাসেদ উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা আ হ ম মোস্তফা কামাল, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল ইসলাম তালুকদার, নির্বাহী সদস্য মো. মাসুদ আলম, সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন, মো. দেলোয়ার হোসেন, লায়ন খান আখতারুজ্জামান প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ৯ মাসের সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা অর্জন করেছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। যা বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ ও মহত্তম অর্জন। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না। তাই বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম শামসুন নাহার ভূইয়া এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি, তিনি একাধিক স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, এই স্বপ্ন তিনি সকলের মধ্যে সঞ্চারিত ও প্রসারিত করেছিলেন। বিশ্বে বঙ্গবন্ধুর মতো নেতা বিরল।
সভাপতির বক্তব্যে লায়ন মো. গনি মিয়া বাবুল বলেন, বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তা প্রতিনিয়ত বাড়ছে, তিনি বঙ্গবন্ধু থেকে বিশ্ব বন্ধুতে পরিণত হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু দিন দিন উজ্জল থেকে উজ্জলত্বর হচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর আলোতে বিশ্ব আলোকিত হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বিশ্বের নির্যাতিত, নিষ্পেষিত ও মুক্তিকামী সকল মনুষের মুক্তির সনদ হিসেবে কাজ করছে। বঙ্গবন্ধু ও তার আদর্শ বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় সম্পদ। বঙ্গবন্ধু গবেষণা বা চর্চা আরো বাড়াতে হবে। সরকারিভাবে বঙ্গবন্ধুর নামে গবেষণা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা প্রয়োজন।