নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এক রেস্টুরেন্ট থেকে হুইস্কি, ভটকাসহ প্রায় সাড়ে চার হাজার বোতল দেশি-বিদেশি মদ উদ্ধার করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) রাতে রাজধানীর নিউ জুরাইন এলাকার আইরিশ পাব অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে ওই অভিযান চালানো হয়। রেস্টুরেন্টটিতে ব্যবসার আড়ালে অবৈধভাবে চলতো দেশি-বিদেশি মদ বিক্রি।
এ সময় ৬৫টি ওয়াকিটকিসহ ইলেকট্রনিকস পণ্যও জব্দ করা হয়। অভিযানের খবর পেয়ে পালিয়ে যায় রেস্টুরেন্টের মালিকসহ অন্য কর্মীরা।
শুক্রবার কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ জানান, মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের লাইসেন্স ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বার চালিয়ে আসছিল রেস্টুরেন্টটি। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ছাড়া ওয়াকিটকি ব্যবহারের অনুমোদন নেই কারো। কেনো তারা ওয়াকিটিক রেখেছে সেটি তদন্তে বেরিয়ে আসবে।
তিনি বলেন, মিথ্যা ঘোষণায় অনেক প্রতিষ্ঠান বিদেশি মদ আমদানি করে বিক্রি করছে। এসব ওয়্যারহাউসে অভিযান চালাতে গেলেই তারা আইনের আশ্রয় নেয়। বৈধভাবে মদ আমদানির শুল্ক ৪০০ শতাংশের বেশি। অনেক প্রতিষ্ঠান অবৈধভাবে মদ আমদানি করে বিক্রি করছে। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে বাইরে পাচার হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা।
আবদুর রউফ আরও বলেন, আইন অনুযায়ী সরকারি কোনো সংস্থা দেখতে চাইলে তাদের স্টকের মাল দেখাতে হবে। কিন্তু সম্প্রতি একটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালাতে গেলে তারা বাধা দেয়। উল্টো আদালতে মামলা করে। এতেই বোঝা যায় ভেতরে অবৈধ মাল আছে। অনেক প্রভাবশালী এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে জানান তিনি।
স্বাস্থ্যহানিকর এই মদের মাধ্যমে সমাজে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। বেআইনিভাবে মদ বিক্রি বন্ধে শুল্ক গোয়েন্দা অভিযান অব্যাহত রাখবে বলে জানান।