বঙ্গবন্ধুর ডাক পাকিস্তানের অস্ত্রের চেয়েও বেশি শক্তিশালী ছিল

এইমাত্র জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে যে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, তা পাকিস্তানের অস্ত্রের চেয়েও বেশি শক্তিশালী ছিল।
শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট আয়োজিত মুজিব শতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ‘স্থানীয় সরকারে বঙ্গবন্ধুর ভাবনা এবং করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম… তোমাদের যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকো’। আর তখন পাকিস্তানের মতো বাঙালির হাতে কামান, বন্দুক, গোলা-বারুদ কোনো অস্ত্রই ছিল না। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আহ্বান বাঙালির কাছে তাদের সেই অস্ত্রের চেয়েও বেশি শক্তিশালী ছিল।
তিনি জানান, যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন তাদেরকে নিয়ে এক সময় হাসি-ঠাট্টা ও তিরস্কার করা হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের সনদ লুকিয়ে রাখতেন। কোথাও মুক্তিযুদ্ধ করার কথা বলতে পারতেন না। অত্যাচার-নির্যাতনের কারণে আত্মগোপন করেছিলেন। অথচ মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীরা নিজেদেরকে গর্ব করে রাজাকার বলে পরিচয় দিতো।
ধর্মীয় বিভক্তি মানব জাতির জন্য কখনোই কল্যাণকর কিছু বয়ে আনে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান সবাই আল্লাহর সৃষ্টি। ইসলামে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ির কথা কোথাও বলা নেই। কোরআনে এবং হযরত মুহাম্মদ (সা.) কখনোই অন্য ধর্মের উপরে আক্রমণ করতে বলেননি। অন্য ধর্মের এবং মানুষের প্রতি অবশ্যই সম্মান করতে হবে।
তাজুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে শুধু শক্তিশালী করলেই হবে না, এসব প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাও বৃদ্ধি করতে হবে। জনগণের অংশগ্রহণ ব্যতীত স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করা সম্ভব নয়। আর সবাইকে ভাল রাখতে হলে সবার অংশগ্রহণ প্রয়ােজন। এটাই ছিল বঙ্গবন্ধুর দর্শন। এ দর্শন বাস্তবায়িত হলে দেশ উন্নয়নের শেখরে পৌঁছাবে।
এ সময় ইউনিয়ন মেম্বার ও চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের নৈতিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটলে গ্রামাঞ্চল তথা সারাদেশের উন্নতি ঘটবে জানিয়ে জনপ্রতিনিধিদের নৈতিক আদর্শ গঠনের জন্য কাজ করতে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটকে (এনআইএলজি) নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এনআইএলজির মহাপরিচালক সালেহ মোহাম্মদ মোজাফফর। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. প্রণব কুমার পান্ডে।
সেমিনারে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও এর অধীন অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের প্রতিনিধিরা অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।


বিজ্ঞাপন