নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ঢাকা জিপিওতে শুরু হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রকাশিত স্মারক ডাকটিকিট প্রদর্শনী।
শনিবার ভার্চুয়ালি ঢাকা জিপিওতে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
ডাক অধিদফতর ও বাংলাদেশ ফিলাটেলিক সংগঠনগুলো এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে। বছরব্যাপী পর্যায়ক্রমে দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ ডাকঘরে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
ডাকভবন অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ‘ডাকটিকিট বাণিজ্যিক উপাদান হিসেবে দেখি না। ডাকটিকিট ইতিহাসের সাক্ষী। এটি ব্যক্তি দেশ, জাতি, যুগ ও সভ্যতার প্রকাশ ঘটায়। আমাদের ডাকটিকিট পৃথিবীতে ভাষাভিত্তিক বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ইতিহাস, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, শিক্ষা, সংস্কৃতি, সমাজ সাহিত্য বিশ্বে ৩৫ কোটি বাংলা ভাষাভাষী মানুষের জীবন-জীবীকার ইতিহাস ঐতিহ্য প্রকাশ করছে।’
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী আমাদের জীবনে আরেকবার আসবে না। বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার ঘটনাবহুল ইতিহাস প্রকাশের এই সুযোগ আমরা হারাতে চাই না। স্মারক ডাকটিকেটের মাধ্যমে গুরুত্ব দিয়ে মানুষের কাছে এটি তুলে দিতে পারলে তা হবে বড় একটি কাজ এবং এটি করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।’
বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রকাশিত স্মারক ডাকটিকিটকে গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক সম্পদ উল্লেখ করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী। এসময় তিনি প্রকাশিত স্মারক ডাকটিকিট ঢাকা কেন্দ্রিক না করে দেশের সকল অঞ্চলে তা সংগ্রাহকদের হাতের নাগালে পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, ‘মুজিবনগর সরকার প্রকাশিত স্মারক ডাকটিকিট স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় অস্তিত্ব প্রকাশে অবিস্মরণীয় ভূমিকা রেখেছে। একাত্তরের ২৯ জুলাই মুজিবনগর সরকার এবং যুক্তরাজ্যের হাউজ অব কমন্স থেকে প্রকাশিত ভারতীয় নাগরিক বিমান মল্লিকের ডিজাইন করা ৮টি স্মারক ডাকটিকিট বিশ্বে আমাদের জাতিসত্তা, রাষ্ট্রসত্তা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রতিফলন ঘটিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের অস্তিত্ব তুলে ধরা হয়েছে যা সারা দুনিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।’
এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন, ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন এবং বাংলাদেশ ফিলাটেলিক সংগঠনগুলোর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।