বিশেষ প্রতিবেদক : পাটুরিয়ায় হবে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু, আর যমুনার তলদেশে টানেল, আসছে বাজেটে বড় প্রকল্পের ফাস্ট ট্র্যাক ঝুড়িতে যুক্ত হচ্ছে আরো কিছু নাম। সরকার বলছে, অগ্রাধিকারভিত্তিক দশ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে নতুন অর্থবছরে বরাদ্দ থাকছে ৩৬ হাজার কোটি টাকা। তবে, প্রচারণার কৌশল হিসেবে বড় প্রকল্প হাতে না নিয়ে, চলমান প্রকল্প বাস্তবায়নে আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান অর্থনীতিবিদদের। বৈশ্বিক রাজনীতি আর অর্থনীতির মাঠে সামনের কাতারে থাকতে চায় ভবিষ্যতের বাংলাদেশ। এজন্য দরকার হবে এমন সব প্রকল্প যা নিশ্চিত করবে অভ্যন্তরীণ সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার।
লক্ষ্য পূরণের প্রথম ধাপে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মায় সেতু নির্মাণের সাহস দেখায় সরকার। পুরোপুরি প্রস্তুত না হলেও ডিসেম্বরেই দৃশ্যমান হবে সেতুর অনেকটাই। দ্বিগুণ বাড়িয়ে আসছে বাজেটে এ প্রকল্পে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করবে সরকার।
টাকার অংকে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সম্ভাব্য বরাদ্দ ১৫ হাজার কোটি টাকা। এবার দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর সঙ্গে নতুন বাজেটে যুক্ত হচ্ছে যমুনা নদীতে টানেল প্রকল্প, বলছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
তিনি বলেন, বড় প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা আমাদের বড় দরকার। এখানে আমরা অর্থ বিনিয়োগ করবো সবচেয়ে বেশি। আমরা পাটুরিয়ার কাছে আরেকটি পদ্মাসেতুর কাজে বোধহয় হাত দিতে পারবো। কর্ণফুলী টানেলের মতো আরো ২/৩টা টানেল যমুনা নদীতে করা হবে।
যদিও, নির্দিষ্ট মেয়াদে প্রকল্প বাস্তবায়ন আর আর্থিক স্বচ্ছতার অভাব নিয়ে আক্ষেপ রয়েছে অর্থনীতিবিদদের।
অর্থনীতিবিদ কে এস মুর্শিদ বলেন, মেগা প্রকল্পের কথা শুনতে ভাল শোনায়, কিন্তু বাস্তবায়নে গিয়ে কস্ট যদি অনেকগুণ বেড়ে যায়, তখন তো মানুষ ভাববে যে আসলে এসব মেগা প্রজেক্ট দিয়ে আসলে আমাদের কতটুকু লাভ হচ্ছে। গুণগত মানটা বজায় রাখতে হবে। তা না হলে অনেক অপব্যয় হয়, অপচয় হয় এবং মানুষেরও ধৈর্য হারিয়ে যায়।
নতুন অর্থবছরে মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রের সম্ভাব্য বরাদ্দ ৩ হাজার কোটি টাকা, মেট্রোরেলে থাকছে ৭ হাজার ২শ কোটি টাকা, ৫শ কোটি টাকা ব্যয় হবে পায়রা বন্দর নির্মাণে। সবমিলে চলমান ১০ বড় প্রকল্পে ৩৬ হাজার ২শ ২০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করতে যাচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
![](https://ajkerdesh.com/wp-content/uploads/2019/06/maxresdefault-1.jpg)