মাদারীপুর প্রতিবেদক : পরিবার-স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে এবার কর্মস্থলে ফেলার পালা; তাই রোববার সকাল থেকেই কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে ঢাকামুখী যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। বিআইডব্লিউটিসির কাঁঠালবাড়ি ঘাটের ব্যাবস্থাপক আবদুস সালাম জানান, অন্যান্য সময় এ রুটে ১৫টি ফেরি দিয়ে পারাপার করানো হয়; কিন্তু সকাল ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ বেড়ে যাওয়ায় ১৮টি ফেরি দিয়ে পারাপার করানো হচ্ছে। তবে দুর্যোগর্পূর্ণ আবহাওয়ার সময় ঝূঁকি এড়াতে ফেরি দিয়ে কেবল যাত্রী পার করানো হচ্ছে বলে জানান তিনি। সরেজমিনে দেখা যায়, কাঁঠালবাড়ি ঘাটে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লঞ্চ, স্পিডবোট ও ফেরিতে অতিরিক্ত যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়তে শুরু করে। যাত্রীরা দীর্ঘ সময় লাইন দাঁড়িয়ে থেকে টিকিট কেটে লঞ্চ ও স্পিডবোটে উঠছেন; বৈরী আবহাওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে অনেকে ফেরিতে করে পাড়ি দিচ্ছেন পদ্মানদী। এদিকে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া ঘটাটে প্রায় তিনশ গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে বলে মাদারীপুর পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার জানান। তিনি বলেন, কাঁঠালবাড়ি ঘাটে ঢাকামুখী যাত্রী ও যানবাহনের অতিরিক্ত চাপের কথা মাথায় রেখে বিআইডব্লিউটিসি, বিআইডব্লিউটিএ, পুলিশ, র্যাব, ফায়ার সার্ভিস, আনসার, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সার্বক্ষণিক কাজ করছে, পাশাপাশি সিসিটিভির মাধ্যমে ঘিরে রাখা হয়েছে পুরো কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাট। এছাড়া যাত্রীসেবা নিবিঘ্ন করতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের একাধিক টিমও কাজ করছে বলে জানান। মাদারীপুর শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামনা জানান, দঞ্চিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যাতায়াতের জন্য কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুট ব্যবহার করেন। ঈদে যাত্রী সেবায় ১৮টি ফেরি, ৮৭টি লঞ্চ ও দুই শতাধিক স্পিডবোট রাখা হয়েছে। বরিশাল থেকে আসা মামুন বেপারী বলেন, যাত্রীচাপ থাকলেও কাঁঠালবাড়ি ঘাটে এসে লঞ্চে উঠতে তেমন কোন দুর্ভোগে পড়তে হয়নি। রাস্তায়তেও তেমন কোন যানজট নেই। একই কথা জানালেন খুলনা থেকে আসা রুবেল হোসেন নামের এক শিক্ষার্থী।