ঢাকামুখী মানুষের ঢল নেমেছে দৌলতদিয়ায়

অন্যান্য এইমাত্র জাতীয় জীবন-যাপন ঢাকা

রাজবাড়ী প্রতিবেদক : ঈদের ছুটি শেষে ঘরমুখি মানুষ ঢাকা সহ বিভিন্ন জেলায় যেতে রাজবাড়রীর দৌলতদিয়া প্রান্ত দিয়ে পারাপার হয়ে থাকেন। পবিত্র ঈদুল ফিতরের ৬ষ্ঠ দিনে দেশের গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়ায় কর্মস্থল মুখি মানুষের উপচে পড়া ভির লক্ষ করা গেছে। অতিরিক্ত গরমে যাত্রী ও চালকেরা পরছেন চরম দুর্ভোগে। সাথে রয়েছে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ। তবে ঘাট কর্তৃপক্ষের ধারনা সময় যত বাড়বে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ ততই বাড়বে বলে জানান। সোমবার দুপুরে দৌলতদিয়া ফেরি ও লঞ্চ ঘাট এলাকায় কর্মস্থল মুখি মানুষের উপচে পড়া ভির লক্ষ্য করা গেছে। রাস্তায় যানজটে আটকে থাকতে দেখা গেছে যাত্রীবাহি বাস,মালামাল বাহী ট্রাক,প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস গুলোকে। তবে সবচেয়ে বেশি চাপ লক্ষ করা গেছে লঞ্চ ঘাট এলাকায়। সেখানে উপচেপড়া ভির রয়েছে সকাল থেকেই একই ভাবে। এছাড়া দৌলতদিয়া প্রান্তের সড়কে যাত্রীবাহি বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকারসহ কয়েকশ যানবাহনকে সিরিয়ালে থাকতে দেখা গেছে। এ সময় তীব্র গরমে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন নদী পারের অপেক্ষায় সিরিয়ালে থাকা যনবাহনের চালক ও যাত্রীরা। ঢাকামুখি যাত্রীরা বলেন, দৌলতদিয়া প্রান্তের সড়কে তারা দীর্ঘ সময় ফেরির জন্য অপেক্ষায় আটকে আছেন এবং গরমে পরিবার পরিজন নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন। কখন ফেরিতে উঠতে পারবেন তা জানেন না। চালকরা বলেন, এবার ঈদের আগেও দৌলতদিয়ায় দিয়ে ভাল মত যাত্রীদের গন্তব্যে পৌছে দিতে পারলেও ঈদের পড়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় যেতে দৌলতদিয়া প্রান্তের সড়কে আজ ঘন্টার পর ঘন্টা সিরিয়ালে বসে থাকতে হচ্ছে। এ সময় গরমে যাত্রীদের পাশাপশি তারাও দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। দৌলতদিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ সুত্রে জানাগেছে, বর্তমানে দৌলতদয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ছোট বড় ২০টি ফেরি ও ৩৪ টি লঞ্চ চলাচল করছে এবং ৬টি ফেরি ঘাটের ৬টি ঘাটই সচল রয়েছে। দৌলতদিয় লঞ্চ ঘাট সুপারভাইজার মোঃ নুরুল আনোয়ার মিলন বলেন, আজ ঢাকা মুখি যাত্রীদের চাপ অনেক বেশি। অতিরিক্ত চাপ থাকলেও দূর্ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত কোন যাত্রী লঞ্চে বহন করা হচ্ছে না। তবে পর্যাপ্ত পরিমান লঞ্চ থাকায় যাত্রী পারাপারে কোন সমস্যা হচ্ছে না। ঘাট এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও যানজট নিরসনে পর্যাপ্ত পরিমানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *