আপসোস অন্ধরা এখনো মামুনুলের প্রেমো পাখি

জাতীয়

মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী : হেফাজতীদের সুর পাল্টিয়ে গেছে। এটি তাদের নতুন কৌশলে হতে পারে। সমকামিতা(বলৎকার) করলে ঈমান যায়না। অন্যের বউর সাথে পরকীয়া ও পরিশেষে মানবিক বিবাহের নাটকও ঈমানের ক্ষতি হয়না। আয়রে ঈমান তুমি কার কখন? মামুনুল হকের কুর্মের সমর্থকরা এখন কোথায়? নিশ্চয় এখন আর সরকারের সাজানো নাটক বলার কোন সুযোগ নেই। স্বীয় কুকর্মের ফিরিস্তি ও তার সত্যতার প্রমাণ সে নিজেই লাইভে প্রকাশ করে দিয়েছে। আপসোস অন্ধরা এখনো মামুনুলের প্রেমো পাখি।


বিজ্ঞাপন

ইসলামের কথা বলে আর কত ভণ্ডামি? বাংলাদেশের সরল সহজ মুসলিমদের ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে আর কত প্রতারণা ও ধোঁকাবাজি। যারা রাসূলে মাকবুল রাউফুর রাহীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে নিয়ে বিতর্ক করে। তাদের দ্বারায় ইসলামের হেফাজত হবে মুর্খের স্বর্গে কষা সাধুর গল্প। হেফাজত ইসলাম কোন ইসলামি দল নয়। এটি হলো স্বাধীনতাবিরোধী চক্র এজীদি অনুসারীদের মোর্চা। তারা ইসলাম রক্ষার নামে এযাবৎ যা করেছে একটিও ইসলামের বিধি সম্মত নয়। অথচ কিছু সংখ্যক মানুষ তাদের বানোয়াটি প্রলোভনে পরে তাণ্ডব করেছে দেশব্যাপী।

ইসলামের বিরুদ্ধে কেউ কিছু করলে তার প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ হবে ইসলামি বিধানের আদলে। নূরনবী সাঃ এর রেখে যাওয়া আদর্শের অনুকূলে। হেফাজত কোন ইসলামের আদলে মানবতাবিরোধী এ তাণ্ডব চালালো তা আজ অনেকেরই মনে প্রশ্ন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে বারবার ইসলামবিরোধী বলে অপপ্রচারের চেষ্টা হয়েছে। মজার বিষয় হলো বাংলাদেশে ইসলামের যত খেদমত হয়েছে তা বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই। ধর্মজীবীরা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলেও তারা ইসলামের জন্য কিছুই করেনি। এরপরেও মিথ্যাচার করে বেড়ায় ওরা ধর্মের লোক আর আওয়ামী লীগ ধর্ম বিদ্বেষী। ইসলামের বিধানকে গভীরভাবে গবেষণা করলে দেখা যাবে। এদেরকে হেফাজতে ইসলাম তো দুরের কথা ইসলাম অনুসারী মনে করাটাও মহাপাপের পর্যায়।

এই হেফাজতীদের কেউ কেউ মামুনুল হক কে আমিরুল মু’মিনীন ওমর ইবনে খাত্তাব রাঃ এর সাথে তুলনা করেছে। মামুনুল হক নিজেই রাসূল সাঃ কিভাবে কথা বলতেন তা সে সেভাবে বলতে পারবে বলে এবং দেখিয়ে মুহাম্মদ সাঃ এর সাথে চরম বেয়াদবি করেছে। বলা যায় সে গোস্তাকে নবী। এরা নিজেদের মতো করে ইসলামকে বিবেচনা করে। যা তাদের পূর্বের আচার-আচরণ দ্বারায় প্রমাণিত। তাদের সার্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা আনলে দেখা যাবে তাদের হাতে ইসলাম ও প্রিয় বাংলাদেশ নিরাপদ নয়। ইসলামি পরিভাষায় মামুনুল একজন কাজেব অর্থাৎ চরম মিথ্যাবাদী। অতএব সরকারের নৈতিক দায়িত্ব হবে এদের হাত থেকে ইসলাম ও দেশকে রক্ষা করার জন্য দ্রুত প্রয়োজনীয় আইনি ব্যাবস্থা গ্রহণ এবং তার বাস্তবায়ন।

হেফাজতের শীর্ষনেতারা মামুনুলের অপকর্মের সত্যতা বুঝতে পেরে এখন নতুন পন্থায় সরকারের সাথে আবার বাণিজ্য করার পথ তৈরির চেষ্টার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে বিশেষ সূত্রে জেনেছি। হয়ত তারা পূর্বের ন্যায় সে কাজটি করতে সক্ষম হতে পারে। কারণ সরকারের মধ্যেও যে তাদের অনুসারী ও এজেন্ট আছে তা বলার অবকাশ নেই। তবে সরকার এবং আওয়ামী লীগ আবারও যদি তাদের ফান্দে পা দেয় তা হবে বাঙ্গালি জাতি সত্তার জন্য চরম আত্মঘাতী।

লেখক : প্রধান সমন্বয়ক, বাংলাদেশ সোস্যাল অ্যাক্টিভিস্ট।