নিজস্ব প্রতিনিধি : ২০১৮ সনে চট্টগ্রাম শহরের নিউরন ইংলিশ স্কুলের সাবেক এক শিক্ষক আয়াতুল ইসলাম (৩৫), পিতা- ফয়জুল হক, সাং- মুসলিম ব্লক, থানা- বাঘাইছড়ি, জেলা- রাঙ্গামাটি ১২ বৎসর বয়স্ক ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর বাথরুমের কিছু অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে মেয়েটিকে দেখায়। ভিডিওটি তার বন্ধু বান্ধবীকে পাঠিয়ে দেয়া এবং ইন্টারনেটে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে প্রায় তিন বৎসর যাবত মেয়েটিকে ব্ল্যাকমেইল করে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে। একপর্যায়ে মেয়েটিকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ইমু, ম্যাসেঞ্জার এবং হোয়াটসআ্যাপে তার অশ্লীল ছবি উক্ত শিক্ষকের নিকট পাঠাতে বাধ্য করে। দীর্ঘ প্রায় তিন বৎসর যাবত উক্ত শিক্ষকের এরূপ ব্ল্যাকমেইল এর স্বীকার হয়ে শিশু মেয়েটি মানসিকভাবে চরম বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপনে উক্ত সংবাদ জানতে পেরে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় যৌন নীপিড়নকারী শিক্ষক আয়াতুল ইসলামকে ১৫-০৪-২০২১ ইং তারিখ গ্রেফতার করে। উক্ত শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদে সে নাবালিকা শিশুটিকে ব্ল্যাকমেইল করে যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন করার কথা অকপটে স্বীকার করে। যৌন নিপীড়নকারী শিক্ষকের মোবাইল ফোন থেকে মেয়েটির শতাধিক অশ্লীল ছবি উদ্ধার করা হয়। তাছাড়া উক্ত আসামির ফেইসবুকে ও ম্যাসেঞ্জারে শিশু ছাত্রীটির কুরুচিপূর্ণ অনেক অশ্লীল ছবি দেখা যায়। উক্ত শিক্ষকের মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত যৌন নিপিড়নকারী এ শিক্ষকের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানায় পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইনে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
যৌন নিপীড়নকারী আলোচিত শিক্ষক আয়াতুল ইসলাম র্যাব-৭ কর্তৃক গ্রেফতার হওয়ার সংবাদে এলাকাবাসী উল্লাস প্রকাশ করে।